দেশে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের সব ধরনের পদক্ষেপ সমুহ কার্যকরি করতে সকল মহলের সহায়তা থাকতে হবে। বর্তমান সরকারের কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ কাজে লাগাতে যুব শক্তিকে পুরোপুরি কাজে নিয়োগ করতে পারলে কৃষি বিপ্লব প্রত্যাশা করা যায়।
বর্তমান সরকারের সময়ে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতির প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারছে। দেশে মহামারি করোনা ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে সরকারের বিশেষ উৎসাহ-উদ্দীপনা আর সব ধরনের কৃষি ক্ষেত্রে সহায়তার ফসল হিসাবে কৃষি-বিষয়ক সর্বক্ষেত্রে কৃষির উন্নয়ন সাধিত পরিলক্ষিত হচ্ছে, বলে কৃষক সমাজ মনে করছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭২ সাল থেকে কৃষি বিপ্লব করার প্রত্যাশায় সর্বত্র কৃষির উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলে ৭৪ সালে সারা দেশব্যাপী কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছিল । তারই প্রেক্ষিতে ৭৪ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ন্যাপ কমিউনিষ্ট পার্টিকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল ) নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়। এ ছাড়াও দেশের ছাত্র সমাজকে দেশ ও জাতির স্বার্থে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নাম ধারণ করে। তাই এদেশের সকল প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ছাত্র-যুবক নেতা-কর্মীরা এ দলের নিয়ন্ত্রণে একীভূত হয়ে কাজ শুরুর পূর্বেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্র“রা ১৫ আগষ্ট হত্যা কান্ড ঘটায়। হত্যা করে জাতির ভবিষ্যৎ স্বপ্ন দ্রষ্টা বাঙালি জাতির প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারবর্গের সদস্যবৃন্দ। এমনকি এ পশুদের হাত থেকে বার বছরের শিশু রাসেলও রক্ষা পায়নি।
বর্তমান সরকার প্রধান, জাতির জনক বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা কৃষির উন্নয়নে কৃষকদেরকে সব-ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে দিয়েছেন এবং দেশের সর্বত্র কৃষি উৎপাদন করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে কৃষি উন্নয়নের পদক্ষেপ গুলো অব্যাহত থাকলে অদূর-ভবিষ্যতে দেশ কৃষিক্ষেত্রে স্ব-নির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে সচেতন মহলের প্রত্যাশা।