ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে পরপর তিনদফা বন্যায় উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো তছনছ হয়ে গেছে। গ্রামীণ অধিকাংশ কাঁচা-পাকা সড়ক বন্যায় পুরো ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা সেরে গেলেও এখনো রয়েছে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন সড়কের ভাঙ্গা অংশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন লোকজন।
উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যেই কাঁচা-পাকা সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। যাতায়াতের অনুপযোগী এসব সড়ক দ্রুত সংস্কার করণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। এ নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে রবিবার সন্ধ্যায় এক জরুরি বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে উপজেলার সকল ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ফকিরটিলা-নরসিংপুর সড়ক, নোয়ারাই-দোয়ারাবাজার সড়ক, নোয়ারাই-বাংলাবাজার সড়ক, কলাবাড়ী-মানিকপুর সড়ক, আন্ধারীগাও-আমেরতল সড়ক, আন্ধারীগাঁও-দোয়ারাবাজার সড়ক, শ্যামপাড়া-কান্দিগাও সড়ক, আমেরতল-নাদামপুর সড়ক, গাবুরগাঁও-চরমহল্লা সড়ক, বঙ্গবন্ধু মুক্তিরগাও সড়ক, রুক্কাবাজার-গদারমহল সড়ক, কালারুকা-কাজীহাটা সড়ক, কালারুকা-রামপুর সড়ক, তাজপুর-নুরুল্লাপুর সড়ক, জালালপুর-কটালপুর সড়ক, গোবিন্দগঞ্জ-বিনোদপুর সড়ক, বাগইন-ছৈলা সড়ক, বাগইন-লাকেশ্বর সড়ক, মঈনপুর-কাটাসলা সড়ক, বাউশা-বড়বাড়ী সড়ক, রাতগাঁও-মল্লিকপুর সড়ক, বড়কাপন-কপলা-উসাইরগাঁও সড়ক, জালালপুর-মঈনপুর-লামারসুলগঞ্জ সড়ক, সিরাজগঞ্জবাজার সড়ক, ভাতগাও-হায়দরপুর সড়ক, জাউয়া-ঝামক সড়ক, কৈতক-রাউলি সড়ক, চরমহল্লাবাজার-চরবারুকা সড়ক, পালপুর-মর্জাদ সড়ক, ইসলামপুর-বাহাদুরপুর-মন্তাজনগর সড়ক সহ ১৩ ইউনিয়নের অসংখ্য গ্রামীণ সড়ক তিনদফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক হিসেব অনুযায়ী উপজেলায় প্রায় ৬’শ কি.মি. কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়ক দ্রুত সংস্কারের জন্য রবিবার সন্ধ্যায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির, উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনসুর মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, বিল্লাল আহমদ সহ প্রকৌশল বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।