রাকিবুল হাসান রাকিব
আমি বীর-কালপুরুষ।
অসীম শক্তি আমার, অসীম সাহসী পুরুষ।।
আমি খুব রাগী, আমি অগ্নি পুরুষ-
আমি ঘুমিয়েছি খুব তীব্র ঘুমে।
ঘুমিয়েছি আমি এক বটবৃক্ষের নীচে।।
কেটে গেল রাত দিনের আলো এসেছে।
সূর্য আমার ঘুম ভেঙে দিয়েছে।
লাল রাঙা চোখ বড় বড় করছে।।
তীব্র রেগে খিটখিটে মেজাজ হয়েছে।
একদল সৈনিক নিয়ে সূর্যের পেছনে ছুটছে।
চল, আজ সূর্যের সন্ধানে নাও হস্তে-
তীর, ধনুক, ছুরি, নাও আরও যা আছে।।
দাও বাঁকা তলোয়ার আরও ধনুক দাও-
চলো সবে আমার চলো এগিয়ে।।
সূর্য তাকে খুব কাছে মনে হচ্ছে,
সবাই তীর ছুটাও সূর্যের পানে।।
সূর্য জানে না? আমার মানে-
আমি একটা মহা কালপুরুষ!
আমি খুব বদ মেজাজি, খুব রাগী।
সূর্য এখন ঠিক দুপুরে, মাথার উপরে-
চলো একটা পর্বতের চূড়াতে।
হুম। বুঝেছ এবার ক্লান্ত হয়েছে।।
ঠিক, ঠিক বলেছেন। মহা কালপুরুষ-
তীর ছুড়াচ্ছে পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে,
দেখি পড়ে না, সূর্যের গায়ে।।
একটু সূর্য হেলে যাচ্ছে, বিকেলের দিকে-
কালপুরুষ বজ্র কণ্ঠে বলে।।
সূর্য পালাচ্ছে চলো, এগিয়ে চলো।
অবিরাম চলো আমি আছি। অসীম সাহসী-
আমার আছে হাতিয়ার, আছে বাঁকা তলোয়ার।।
আছে আমার লম্ব দেহ, আমার আছে শক্তি।।
চলো এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো-
সূর্য এখন পড়ন্ত বিকেলে বেলা ডুবিবে।
ক্লান্ত সূর্য এখন মাটিতে পড়েছে।।
চলো এগিয়ে চলো, আছি আমি কালপুরুষ।
আছে আমার হিম্মত, আমি অসীম সাহসী।।
এবার সূর্যকে করিব লাশ, কত বড়ো সাহস তার?
এ-ই আমাকে ঘুম ভেঙে দেবার!
মহা কালপুরুষ পৌঁছাতে পৌঁছাতে-
সূর্য গেছে ডুবে, নেমে এলো আঁধার।
হা!হা!হা! সূর্যকে তাড়িয়ে দিয়েছি।।
এখন থেকে আসবে না আর-
ঘুমাব আমি নিশ্চিতে, থাকুক আঁধার।।
সূর্য পালিয়েছে ভয়ে দেখা দিবে না, আর-
ঘুমিয়ে কালপুরুষ রাত কেটে গেল, তার-
সূর্য নেমে এলো সকালে আবার।।
সে বুঝিল তার চেয়ে অনেক আছে মহান।
তার চেয়ে তীব্র ভয়াবহ আরও কত মহা মহীয়ান।।