ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী
২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কজনক ঘটনার জন্ম দিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশস্থল লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা করা হয়। যারা ১৯৭৫-এর ১৫ আগষ্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করতে চেয়েছিল তাদের সঙ্গে আরও কিছু নতুন চক্রান্তকারী যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে দেশের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন যাতে ভবিষ্যতে কেউ না করতে পারে সে উদ্দেশ্যে এই অসদুপায় গ্রহণ করেছিল। এই দুষ্টচক্রের কবল থেকে ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সরকার জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ব্যাপৃত হয়েছিল। তারা দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গলার্থে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিল। এ পদক্ষেপগুলো ১৯৭৫-এর কালরাতে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অর্থনীতি যে জনকল্যাণের জন্য তা কিন্তু শেখ হাসিনা তার প্রথম শাসনামলেই প্রতিভাত করেছিলেন। তিনি সে সময়ে একজন যোগ্য অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেবকে পেয়েছিলেন। আসলে যত বড় মাপের নেতাই হোন না কেন তাকে কাউকে না কাউকে দিয়ে তার নির্দেশিত কাজ করাতে হয়। শাহ আবু মুহাম্মদ শামসুল কিবরিয়াকে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্রেনেড হামলায় হত্যা করে ঘাতক দল। দুর্ভাগ্য যে, তার ছেলে আজ ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপপ্রয়াসে সমাজে শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার ভুঁইফোড় প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে থাকে।
একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা সংঘটিত যখন হয় তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্য শেষ করেছেন। বিকেলে এ ধরনের হীন ও ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছিল। সে সময় কমপক্ষে ২০ হাজার লোক সমাবেশস্থলে ছিল। জননেত্রী মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলেও আল্লার রহমতে বেঁচে যান। তবে দুর্ভাগ্য যে, ১৬ জন তৎক্ষণাৎ হামলায় প্রাণ হারান এবং সর্বমোট চব্বিশ জন মৃত্যুবরণ করেন। ৫০০ জনের অধিক গ্রেনেড হামলায় আহত হন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমান আহত হওয়ার ৫৮ ঘণ্টা পর মারা যান। আজও অনেকেই গ্রেনেডের স্পিন্টারের আঘাত নিয়ে বেঁচে আছেন। আসলে এ ধরনের হামলা কেবল যে নিরঙ্কুুশ ক্ষমতা গ্রহণ তা নয়, বরং বাঙালিকে দাবিয়ে রাখার অপপ্রয়াস ছিল। যারা এ কুকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল তারা দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসেনি। মিথ্যে ষড়যন্ত্রের বুনিয়াদকে তারা ক্রমশ জটিল করে তুলেছিল। এ ষড়যন্ত্রকারীদের অনেকে কিন্তু এখনও বহালতরিয়তে দেশে-বিদেশে রয়েছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মোট ৩৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। যাদের মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে এমন ১৯ জনের মধ্যে ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টুসহ অন্যরা। অন্যদিকে যাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে তাদের ১৯ জনের মধ্যে আছেন তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী প্রমুখ। উভয় গ্রুপের দন্ডপ্রাপ্তরা সবাই সাধারণ অভিপ্রায়, পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ব্যবস্থা সেদিন করেছিলেন। তবে এ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দেশে-বিদেশের আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ ধরনের হিংস্র ও বর্বরোচিত ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণ জীবনাদর্শের সৃষ্টি করে। হিংসা-বিদ্বেষ ও সন্ত্রাস কখনও একটি দেশের উন্নয়ন করতে পারে না।
অর্থনৈতিক মুক্তির যে প্রয়াস শেখ হাসিনা সরকার ১৯৯৬ সালে শুরু করেছিলেন, তাকে আরও বেগবান করতে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গ্রহণ করে। তবে ২১ বছরের চক্রান্তকারীদের শাসনামল এবং ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াতীদের পাঁচ বছরের শাসনামলে দেশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে। এ সময়ে জঙ্গীবাদের বিস্তৃতিও ঘটে। জঙ্গিবাদের এ বিস্তৃতি আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের জানমালের ওপর হুমকিস্বরূপ। তবে কিছু মুখচেনা তথাকথিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আছে, তারা বানরের পিঠা ভাগের মতো সুযোগ-সুবিধা নিতে ব্যস্ত থাকে। বিএনপি-জামায়াতীরা ১৬ অক্টোবর ২০০২ থেকে ৯ জানুয়ারি ২০০৩ পর্যন্ত অপারেশন ক্লিনহার্ট চালু করে। ১১ হাজার ২৪৫ জনকে গ্রেফতার করে এবং কয়েকশত নিহত হন ও চল্লিশজন কাস্টডিতে মারা যান। এই অপারেশন ক্লিনহার্টের জন্য আবার বিএনপি-জামায়াতীরা দায়মুক্তির বিল পাস করে। অন্যায় অন্যায়ই, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হোক অথবা সাধারণ মানুষই করুক। আসলে জঙ্গিবাদ যেমন সমাজ থেকে নির্মূল করা দরকার, তেমনি মাদকের বিশাল থাবা থেকেও দেশের মানুষকে বাঁচানো দরকার। কিন্তু এজন্য আবার সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় বা প্রাণ না হারায় সে ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। আমাদের দেশের সমস্যা হচ্ছে আমরা সচরাচর আইন মানি না। এটি অতীব দুঃখের। আমরা যারা আইন মানতে চাই তারা প্রতিবেশীদের চোখে অনেকটা দুর্বল। ফলে আইন ব্যবস্থায় সংস্কার সাধন করা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। কেননা আইন নিজের গতিতে চলবে। পাকিস্তানী পুরো সময়টা ছিলাম আমরা উপনিবেশে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর দেশে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে চেয়েছিলেন। বেআইনীভাবে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা ছিল লুটেরা। কয়েক বছর আগে আমি দাবি করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য।
এবারে বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আমরা জানতে পেরেছি যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত মুখোশধারীদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য একটি কমিশন গঠিত হতে পারে। রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রাবল্য এ ধরনের কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশের সমস্যা সমাধান করতে পারে। নইলে দুষ্কৃতিকারীরা যে কোন সময় অঘটন ঘটাতে পারে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ২০০৪ সালে প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় আজ বাংলাদেশ বিশ্ব ইতিহাসের পরিক্রমায় এগিয়ে চলেছে। এমনকি করোনাভাইরাসের সময়েও এবং এক কোটি মানুষ বন্যাকবলিত হওয়ার পরও একটি সুশৃঙ্খলিত সমাজ ব্যবস্থার আওতায় মানুষ এগিয়ে চলেছে। দুর্যোগ ও বৈরী পরিবেশকে উপেক্ষা করে রাষ্ট্র আজ স্বাভাবিক জীবনধারায় সরকারপ্রধানের নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে। সরকারপ্রধান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই যে একত্রিশটি দফা দিয়েছিলেন সেগুলো এখন ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি দেশের সব মানুষ ভাল হতে পারে না। আবার একটি দেশের সব মানুষ খারাপও হতে পারে না। ভালো-মন্দ মিশিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি প্রতিটি স্তরে মানুষের মধ্যেও ভালো-মন্দ আছে। যারা পর সম্পদ লুণ্ঠনকারী, করোনাকালে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ব্যবসা করেছে অনৈতিকভাবে তাদের বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। যারা ধনবান শ্রেণী তাদের অবশ্যই দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা দরকার। অর্থসম্পদ দেশ থেকে পাচার হলে তা দেশে পুঁজি সঙ্কট সৃষ্টি করবে। কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সামাজিক পুঁজিকে ব্যবহার করতে হবে এবং পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন না করে স্বল্পে তুষ্ট থাকার অভ্যাস গ্রহণ করতে হবে। যারা মনে করেন সহজে বড় লোক হওয়া যায়, তাদের অর্থকেন্দ্রিক চিন্তা-চেতনা থেকে মুক্ত হয়ে সামাজিক বৈষম্যকে দূর করতে হবে। আমাদের বাঙালি সমাজ ব্যবস্থায় সাময়িকভাবে হয়ত ধনবান হওয়া যায়; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি কোন সুফল বয়ে আনে না। সমাজ ব্যবস্থায় আজ নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া দরকার। কর্মমুখী প্রবৃদ্ধির ব্যবস্থা করা দরকার। সরকার মানুষের রোগমুক্তির জন্য কোভিড হাসপাতালসমূহ স্থাপন করেছে। এই করোনাকালেও গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার হচ্ছে ৫.২৪% এবং মাথাপিছু আয় হচ্ছে মার্কিন ডলার ২০৬৪। অথচ ১৭ আগষ্ট ২০২০ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, নির্ধারিত ১৫ হাজার ২৫৫টি শয্যায় আগের দিন পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিল ৪ হাজার ৩৮৫ জন এবং ৫৪৩টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রোগী ছিল ৩২৪ জন। এ বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষকদের গবেষণার উপাদান আছে। কেননা সরকার যেখানে সাধারণ মানুষের সুস্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করছে, সেখানে আমাদের মধ্যে কয়জন স্বাস্থ্যবিধি মানছেন? আবার হাসপাতালে গেলে কেমন ধরনের আদর-আপ্যায়ন তথা চিকিৎসা হচ্ছে সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। মনে আছে, দেশের প্রথম কাতারের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে ২০১৫ সালে গেলে চিকিৎসক আমাকে বলেছিলেন যে, আয়ু আছে তিন মাস। পরে জানতে চাইলেন বাসার ঠিকানা। বললাম। তখন তিনি জানালেন, পাঁচ লাখ টাকা রেডি রাখতে। আমি বললাম, আমাকে বেতনের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভাগ্য ভাল, কিছুদিন পর অফিসিয়াল ট্রেনিংয়ে থাইল্যান্ডে গেলাম। সেখানকার সামিতাভাজ হাসপাতালে গেলাম। ডাক্তার বললেন, আপনার দেশের ডাক্তার সম্পূর্ণ ভুল বলেছেন। এরপর থেকে আমি দেশে ইনবাউন্ড মেডিক্যাল ট্যুরিজম গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু গবেষণা করেছি। সম্প্রতি একটি গবেষণা করলাম, সাধারণ মানুষ যাতে যথার্থ অর্থে লোক দেখানো নয়, বাস্তবেই টেলিমেডিসিন, রোবটিক্স এবং ব্লক চেইন (ইষড়পশ ঈযধরহ) টেকনোলজির ব্যবহার করে। বস্তুত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু অনেক রোগী তো সঠিক সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার নিয়ম জানেন না। কেন যেন সরকারের সদিচ্ছা চিকিৎসা ক্ষেত্রে যারা বাস্তবায়ন করবেন তাদের মধ্যে গুটিকয়েকের জন্য আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। নেতিবাচক সংবাদ অনেক ক্ষেত্রেই পেসেন্ট পার্টিকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে। দেশের মানুষ হিসেবে ভালো-মন্দ সবাইকে নিয়ে চলতে হয়। তবে যারা অন্যায় করেন তারা যদি বিচারের আওতায় আসতেন তবে কিন্তু সমস্যা হতো না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী শাসকবর্গ একের পর এক অন্যায়কে ধামাচাপা দিতে সচেষ্ট ছিল। এই কারণেই অন্যায়কারীদের উত্থান ঘটেছে। দুর্নীতিপরায়ণরা যেভাবে দুর্নীতি করেন তাতে তাদের পূর্ব পরিচিতি হওয়া লাগে না, হঠাৎ করেই দলমত নির্বিশেষে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। শেখ হাসিনার সরকার এ অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। অত্যন্ত আশার কথা যে, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে মন্ত্রী পরিষদের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ ৩০ মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রকল্পে যাতে অস্বাভাবিক খরচ না হয়। সরকার দেশের উন্নয়নে পরিশ্রম করছে। কিন্তু প্রকল্পসমূহে যদি অন্যায্য খরচ হয় তবে আখেরে উন্নয়ন কর্মকান্ডই ব্যাহত হয়। যারা প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচ করবেন তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার। করোনাকালে ৬৬ দিন লকডাউন থাকায় চার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এটা কাটিয়ে উঠতে হলে পৃথিবীর যে দেশে সর্বাগ্রে ভাল করোনার টিকা উৎপাদন হবে তা সংগ্রহ করতে হবে। কেননা করোনা নিয়েই আমাদের বসবাস করতে হবে। একটি সুখী-সুন্দর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকারপ্রধান কাজ করে চলেছেন। ব্যক্তিস্বার্থে কেউ যাতে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছাকে ব্যাহত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং আগামী বছর হচ্ছে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি। আমরা বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ চাই। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা ছিল আমাদের পেছনের দিকে টেনে নেয়ার অপচেষ্টা। করোনাকালেও সরকার দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চলমান রেখেছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।
লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট ও আইটি এক্সপার্ট।