বিশ্বনাথের এক প্রবাসীকে ওমানে আটকে রেখে দেশে মুক্তিপণ, চট্টগ্রাম থেকে কিশোর গ্রেফতার !

18

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
মোছাদ্দুর রহমান (৩৫) নামের বিশ্বনাথের এক প্রবাসী ব্যক্তিকে ওমানে অপহরণের পর আটকে রেখে দেশে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম থেকে রাকিব হোসেন (১৭) নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। রবিবার সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সমু চৌধুরীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারা জবানবন্দিও দিয়েছে কিশোর রাকিব হোসেন। এর আগে ওইদিন ভোররাতে চট্টগ্রামের খুলশি থানা পুলিশের সহযোগিতায় সেখানকার দুবাইওয়ালা বিল্ডিং থেকে রাকিবকে গ্রেফতার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
ওমানে অপহরণ হওয়া মোছাদ্দুর বিশ্বনাথের লামাকাজি ইউনিয়নের মীর্জারগাঁও গ্রামের মৃত তালিব হোসেনের ছেলে। আর চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার হওয়া কিশোর রাকিব নোয়াখালির সদর (সুধারাম) থানার ধর্মপুরের আতিক হোসেনের ছেলে।
গ্রেফতার ও ১৬৪ ধারা জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা। তিনি বলেন, ওমানে মোছাদ্দুরকে আটকে রেখে গ্রেফতার রাকিবের মাধ্যমে দেশে মুক্তিপণ বাবদ ৪৩ হাজার ২০০টাকা আদায় করেছে ওমানে বসবাসকারী রাকিবের মামা ফজলু মিয়া।
জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে জীবিকার তাগিদে ওমানে পাড়ি জমান মোছাদ্দুর। ২০১৭ সালে দেশে ফিরে বিয়ের পর আবারও সে দেশে ফিরে যান। বর্তমানে শাহরিয়ার নামে মোছাদ্দুরের ২ বছরের একটি ছেলে-সন্তান রয়েছে। সর্বশেষ গত ৩০ জুলাই পরিবারের মা-স্ত্রী ও ভাবীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মোছাদ্দুর। এর প্রায় ১২ দিনের মাথায় গত ১১ আগষ্ট অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার ০০৯৬৮৭১০৫৩৮৭৬ মোবাইল নম্বর থেকে মোছাদ্দুরের মীর্জারগাঁওয়ের বাড়ির ০১৭৩২-০৬১২৪৬ ও ০১৭৪২-২৮৪৩০৯ নম্বরে ফোন করে মোছাদ্দুর আটকের কথা জানায় এবং ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। এক পর্যায়ে ২ লাখ টাকার চুক্তি হলে ১২ আগষ্ট চট্টগ্রামে থাকা কিশোর রাকিব বিকাশের মাধ্যমে ৪৩ হাজার ২০০ টাকা নেন। এরপর থেকে ওমানের অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি তার ফোন বন্ধ করে দিলে সন্দেহ বেড়ে যায়। ফলে গত ১৩ আগষ্ট মোছাদ্দুরের চাচাতো ভাই ফয়জুর রহমান বিশ্বনাথ থানায় অজ্ঞাতনামা আসমি করে মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ১১)।