জৈন্তাপুরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু, বাঁচিয়ে তুলতে তিন কবিরাজের ঝাড়ফুক

26

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুরে রুপন মোহন রায় (৭) নামে এক শিশুকে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) মধ্যরাতে সাপে কামড় দেয়। শুক্রবার (১৪ আগষ্ট) ভোরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেরডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়।
তবে চিকিৎকরা মৃত ঘোষণা করলেও শুক্রবার সকাল থেকে তাকে বাঁচিয়ে তোলার আশ্বাস দিয়ে ঝাড়ফুক করে যাচ্ছেন কবিরাজরা। শুক্রবার বেলা ৩ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুটির ঝাড়ফুক করছিলেন ৩ কবিরাজ।
রুপন মোহন রায় (৭) উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের হেমু ভাটপাড়া (নমশুদ্র পাড়া) গ্রামের বাবুল মোহন রায়ের ছেলে।
বাবুল মোহন রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে ঘুমের মধ্যে শিশু রুপনের ডান হাতে বিষধর সাপ কামড় দেয়। তখন সে ঘুম থেকে চিৎকার করে উঠে। পরে রাতেই তাকে নিয়ে হাসপাতালে রওয়ানা করেন বাবুল। হাসপাতালে যাওয়ার সময় রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে রুপন। প্রথমে তাকে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ভোর প্রায় ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করলেও ৩ কবিরাজ শিশুটিকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে ঝাড়ফুক চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ৩টা পর্যন্ত শিশুটি নিথর অবস্থায়ই পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে বিয়ানিবাজার থেকে আসা কবিরাজ শৈলেন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি এরকম অনেক মানুষকে বাঁচিয়েছি, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি চেষ্টা চালিয়ে যাবো আমার বিশ্বাস তার জ্ঞান ফিরবে।
কানাইঘাট বড়চতুল থেকে আসা কবিরাজ আলমাছ ও নন্দিরগাও সালুটিকর থেকে আসা কবিরাজ মনুজ দুপুর পর্যন্ত ধ্যানমগ্ন আছেন। এখন তারা কোন আশ্বাস দিতে পারছে না।