সাত ঠিকাদার সমিতির সংবাদ সম্মেলন ॥ পাথর সরবরাহ স্বাভাবিকসহ সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন গতিশীল করার দাবি

18
ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন শিক্ষা প্রকৌশল কন্ট্রাক্টর এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এটিএম জেবুল।

স্টাফ রিপোর্টার :
পাথর সরবরাহ স্বাভাবিকসহ সরকারের সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন গতিশীল করার দাবি জানিয়েছেন সিলেটের সাতটি ঠিকাদার সমিতির নেতৃবৃন্দ। বুধবার নগরীর একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশিদার হিসেবে তারা প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানান। একই সাথে বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশের চলমান সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষা গতিশীল রাখার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনাও করেছেন তারা।
এ সাত সংগঠন হচ্ছে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি শিক্ষা প্রকৌশল, এলজিইডি, গণপূর্ত, সিটি কর্পোরেশন, সড়ক ও জনপথ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল এবং জেলা পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান বৈশি^ক সংকটে ঠিকাদাররাও নানা সমস্যায় রয়েছেন। এসব সমস্যা মোকাবেলা করেই উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে তারা প্রতিশ্র“তিবদ্ধ রয়েছেন। কিন্তু উন্নত মানের পাথর সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে যথাসময়ে স্থাপনার নির্মাণ কাজ শেষ করা যাচ্ছেনা। এতে প্রকল্প এলাকায় পড়ে থাকায় এসব উপকরণ নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন তারা।
তারা আরও বলেন, পাথর সরবরাহ বন্ধ থাকায় পাথরের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে; যা দরপত্রের প্রায় দ্বিগুণ। এজন্য ঠিকাদারদের পক্ষে উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনটি দ্বিগুণ মূল্য দিয়েও পাথর পাওয়া যাচ্ছেনা। এ কারণে বাস্তবতার দিক বিবেচনা করে জরিমানা ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন মেয়াদ বাড়ানোর দাবি করেন তারা।
তারা আরও উল্লেখ করেন, সরকারের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের বিল হতে যেহেতু উৎসে বিল কর্তন করা থাকে সেহেতু আমরা নির্ধারিত হারে বাৎসরিক ভ্যাট প্রদান করেন। তাই মাসে মাসে চালানের কপি জমা দানের নতুন নিয়ম তাদের জন্য ‘বাড়তি বোঝা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন ঠিকাদাররা। একই সাথে ম্যাট্রিক্স পরিবর্তন করে সমতার ভিত্তিতে যোগ্যতা অনুসারে ঠিকাদারদের কাজ প্রদান নিশ্চিতের দাবিও করেন।