সওজ সিলেট জোনের ভার্চুয়াল সভায় সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ॥ সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কাজ দ্রুত শুরু করার তাগিদ

19
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেট জোনের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।

সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বদলে যাওয়া বিশ্বের সাথে সমন্বয় করে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে কাজ করতে হবে। জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করতে হবে। যেভাবে মানুষ উপকৃত হয় সেভাবেই আমাদের কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য সরকার প্রচুর অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। সরকারের এসব অর্থের অপচয় করা যাবে না। কাজের মানের ক্ষেত্রে দৃষ্টি রাখতে হবে। চুক্তি অনুযায়ি ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিতে হবে। প্রয়োজনে মান ঠিক রাখার জন্য ঠিকাদারদের চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ নানা কারণে শুরু করতে বিলম্ব হয়। তবে এবার সকল বাধা কেটে গেছে। এডিবির অর্থায়নে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত হবে। ইতোমধ্যে এডিবি অর্থায়ন চূড়ান্ত করেছে। চলমান রিটেইল ডিজাইন এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণের কাজ এগিয়ে নিতে হবে, যাতে আর কোন বিলম্ব না হয়। মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পটি সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। কথা দিয়েছি, নানা কারণে কথা রাখতে পারিনি। তবে এবার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। আশাকরি সময়মত কাজটি শুরু করবেন এবং শেষ করবেন।
বুধবার সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেট জোনের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রকৌশলীরা অফিসে বসে থাকলে চলবে না। মাঠে গিয়ে কাজ দেখতে হবে। সময়মত কাজ আদায় করতে হবে। পদোন্নতির জন্য ঢাকায় এসে ঘুরাফেরা করে লাভ নেই। আগামীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে কাজের দক্ষতাকে গুরুত্ব দেয়া হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে যেসব প্রকল্পে স্থবিরতা এসেছে এখন প্রয়োজনে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে সেই প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে নেয়ারও নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
সভায় সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, সিলেট জোনে বর্তমানে সওজের ১২টি প্রকল্প পুরোদমে চলমান রয়েছে। এরমধ্যে চারটি উচ্চ অগ্রাধিকার, চারটি মধ্য অগ্রাধিকার এবং চারটি নিম্ন অগ্রাধিকার প্রকল্প। এই অর্থবছরে একটি প্রকল্প শেষ হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সিলেট জোনে ১৮৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ চারলেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে সওজ সিলেট জোনের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানান।
সভায় সওজ সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল আমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া, সহকারি প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম হাওলাদারসহ সওজ সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ সার্কেলের প্রকৌশলীবৃন্দ এবং বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র প্রতিনিধিরা অংশ নেন। (খবর সংবাদাতার)