গত কয়েক সপ্তাহের অব্যাহত বৃষ্টির ভয়াবহ বন্যার দুর্যোগ যেতে না যেতেই শ্রাবণ-ভাদ্র মাসের প্রচন্ড গরমে বন্যা দুর্গত এলাকার দুর্গতদের মধ্যে গরমকালীন সময়ের নানা ধরনের রোগ-ব্যাধির শংকা দেখা দিয়েছে। ফলে এ তাপদাহে অস্তির হয়ে উঠছে সিলেটের জনজীবন। এ প্রচন্ড গরমে দেখা দিতে পারে গরমজনিত নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি, এ সব রোগ-ব্যাধি রোধে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্দ্যেগ নেয়া খুবই জরুরী।
দেশের বর্ষাকালীন সময়ের মৌসুমী বায়ুর কারণে তীব্র গরম থাকলে ও সে অনুপাতে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা, সে অনুপাতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। আবহাওয়া সূত্রে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বৃষ্টিপাত যথাসময়ে হচ্ছে না। বেশ কয়েকদিন যাবত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌসুমী তাপদাহ দিন-দিন বাড়ছে। এতে সিলেটের মানুষ প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জীবন-যাপন করছেন।
সম্প্রতি মৌসুমী বায়ুর তীব্রতা থাকায় সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে, নিম্ন-আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। অভাব-অনটনের মধ্যে দেখা দিচ্ছে, নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি। এসব রোগ-ব্যাধির মধ্যে পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি সহ নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি। এসব রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষায় গ্রাম-গঞ্জে, শহর-শহরতলীতে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি নিবারণের লক্ষ্যে যথারীতি মেডিকেল টিমের তৎপরতা বৃদ্ধিকরণ ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
দেশের সাধারণ মানুষ মহামারি করোনা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে উঠার সাথে-সাথেই মৌসুমী প্রচন্ড গরমে আরো একটি দুর্যোগের মধ্যে পড়ে নানা ধরনের শংকায় পড়েছেন। দুর্গত মানুষের সর্ব-প্রকার ঔষধ-পত্রের সাথে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার জাতীয় পণ্যের সুব্যবস্থা করণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এগিয়ে আসা খুবই প্রয়োজন।