তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত আব্দুল হাই, মাসুক, হেলিম, নুরবুল, আব্দুল জলিলসহ ৫ জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের সুন্দরপাহাড়ী গ্রামে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুন্দরপাহাড়ী গ্রামের মৃত তমিজ আলীর ছেলে আব্দুল হাইয়ের ডোবায় জোর পূর্বক মাছ ধরতে যায় একই গ্রামের কাচা মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল ও কালাম। এ সময় আব্দুল হাইয়ের ছেলে কাজল ও তার চাচাতো ভাই হোসাইন তাদের মাছ ধরতে নিষেধ করলে শুরু হয় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে জলিল ও কালাম বাড়ী চলে গিয়ে কাচা মিয়াকে ঘটনা জানালে কাচা মিয়াসহ তার আত্মীয় স্বজনরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আব্দুল হাইয়ের ডোবায় এসে কাজল ও হোসাইনের উপর উপর হামলা করে। এ সময় প্রতিবেশীরা তাদের ফিরিয়ে দেয়। পরে কাজল ও নজির কাচা মিয়ার বাড়ীর পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে তাদের উপর কাচা মিয়াসহ ৬জন তাদের উপর আবার হামলা করে। এ ঘটনার পর কাচা মিয়ার ছেলে কালাম আব্দুল হাইয়ের বাড়ীর পাশ দিয়ে আসার সময় আব্দুল হাইয়ের ছেলে কাজল কালামের উপর হামলা করে। এঘটনা জানাজানি হলে কাচা মিয়াসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে এসে এলোপাতারি হামলা চালায়। হামলার ফলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আব্দুল হেলিম (৩৫) আব্দুল হাই (৪৫), তার ছেলে আব্দুর রহিম (২৬), মাসুক মিয়া (২৪), নয়ন মিয়া (২১), কাজল মিয়া (২০), উজ্জ্বল মিয়া (১৭), মধু মিয়ার ছেলে নজির মিয়া (১৫)। কাচা মিয়া পক্ষের তার ছেলে আব্দুল জলিল (৩০), জালাল উদ্দিন (২০), আব্দুল খালেকের স্ত্রী শাহেরা বেগম (৫০) ছেলে নুরবুল (৩৫), শহিদ মিয়া (৩০), শাহিন মিয়া (২০) সহ প্রায় ২০ জন আহত হয়।
আহতদেরকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে আব্দুল হাই, মাসুক, হেলিম, নুরবুল, আব্দুল জলিলের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাদেরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন চন্দ্র বর্মণ।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেছেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।