কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গত ১ জুলাই গভীর রাতে কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামের গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে তিনি পাশবিকতার শিকার ঐ গৃহবধূর বসত বাড়িতে যান, ভিকটিম ও তার স্বামী হারুন রশিদ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে কথা বলেন তিনি। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে সবাইকে আশ^স্ত করেন। এবং ভিকটিমের বসত ঘর মেরামতের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন পুলিশ সুপার। এছাড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ভিকটিমের পরিবারকে ১ মাসের খাদ্য সামগ্রী ও বিভিন্ন ধরনের ফল প্রদান করা হয়। পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ভিকটিমের পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে উল্লেখ করে আরো বলেন, এ ঘটনার মূল হুতা ধর্ষণকারী আজাদুর রহমানকে থানা পুলিশ ও তার সহযোগী মোক্তারকে র্যাব-৯ ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে। তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। অন্য কারো সম্পৃক্ততা পেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে এলাকায় এ ধরনের জগন্য কর্মকান্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে করে না ঘটে সেটা নিশ্চিত করা হবে। ধর্ষণ, বলাৎকার, অসামাজিক কার্যকলাপ এবং যারা মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থাকবে তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, এদের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছে। এলাকায় এসব কার্যকলাপের সাথে যারা জড়িত তাদের তথ্য পুলিশকে দেয়ার জন্য তিনি উপস্থিত সবার প্রতি অনুরোধ জানান পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপারের সাথে উপস্থিত ছিলেন, কানাইঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম, ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ, বাণীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ ও জেলা ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা। পরে পুলিশ সুপার বানীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করে সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় করেন।