বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার ঘোষিত জোনাল এলাকা শনাক্তকরণের কাজ চলছে। সিলেট বিভাগকে রেডজোনে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ছোট ছোট ভাগে ফের বিভক্ত করা হচ্ছে এখানকার বিভিন্ন এলাকা। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় এবং জেলা সিভিল সার্জনের দপ্তরে বেশ জোরেশোরে এক কার্যক্রম চলছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলায়ও রেড, ইয়েলো এবং গ্রীণ জোন শনাক্ত করার কাজ শেষ পর্যায়ে। মঙ্গলবার সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রস্তাবনা ও করোনা রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে জোনাল এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, পৌর এলাকার ২নং (কসবা চালিকোনা, শ্রীধরা ও নবাং) ও ৩নং ওয়ার্ড (কসবা ও খাসার একাংশ) রেডজোনে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সময় ও রোগীর বিবেচনায় পুরো পৌর এলাকা রেডজোনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এছাড়াও উপজেলার আলীনগর, চারখাই, কুড়ারবাজার, মুড়িয়া ও তিলপাড়া ইউনিয়ন ইয়েলো জোনে রাখা হয়েছে। লাউতা, মুল্লাপুর, মাথিউরা, দুবাগ ও শেওলা ইউনিয়নকে গ্রিন জোনে স্থান দেয়া হয়েছে।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুস শুকুর বলেন, পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ড (খাসা) এলাকার পরিস্থিতিও খারাপ। এই ওয়ার্ডও রেডজোনে রয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং করোনা রোগী আরও বাড়তে থাকলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি সাহেবসহ অন্যদের নিয়ে বৈঠক করে এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে।