সাম্রাজ্যবাদী নীতি ও নির্দেশে এসডিজি কর্মসূচিকে সামনে রেখে সরকারের ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জাতীয় ও জনস্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার শাখা। এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি শহীদ সাগ্নিক ও সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর প্রাথমিক পর্যালোচনা করে এক প্রতিক্রিয়ায় এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন করোনাভাইরাস জনিত বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, শিল্প ও শ্রমজীবী জনগণের জীবন ও জীবিকা রক্ষার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত বাজেটে কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নাই। ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ বাজেটের এক তৃতীয়াংশই আসবে ঋণ করে। বাজেটের ৬৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে, যার পুরোচাপ পড়বে দেশের সাধারণ জনগণের উপর।
যে কারণে বাজেটের আকার বাড়লে লুটেরা গোষ্ঠির সম্পদের আকার বাড়ে আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সহায়-সম্পদ কমে। প্রচলিত ব্যবস্থায় বাজেট নিয়ে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের আশাবাদী হওয়ার কোন সুযোগ নেই। দেশের অর্থনীতি সচল রাখছে যে কৃষক, গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক, প্রবাসীসহ অন্যান্য পেশার মানুষ তাদের জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আর নানা নামে কর/ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি যেন নিয়তি। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান দিলেও বাজেটে মোবাইল ফোন কল, ইন্টারন্টে, অনলাইন শপিংয়ের খরচ বৃদ্ধি করেছে। সরকার মোবাইল কোম্পানীগুলোর নিকট হতে পাওনা ট্যাক্স আদায় করতে না পারলেও জনগণের নিকট হতে প্রতি বছরই বাড়তি ভ্যাট, ট্যাক্স, সারচার্জ আদায় করছে দক্ষতার সাথে। আর বাজেট পাসের আগেই মোবাইল অপারেটগুলো গ্রাহকদের নিকট হতে বাড়তি টাকা কাটা শুরু করে দিয়েছে। আজ তাই জাতীয় ও জনস্বার্থমুখী বাজেটের পূর্ব শর্ত হচ্ছে জাতীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজ। নেতৃবৃন্দ সেই লক্ষ্য প্রতিষ্ঠায় সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান। সেই সাথে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থরক্ষাকারী জাতীয় ও জনস্বার্থ বিরোধী গতানুগতিক প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট প্রত্যাখ্যান করার জন্য দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি