কানাইঘাটে দুই কিডনী রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন

118

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
করোনায় আক্রান্ত হয়ে কানাইঘাটের দুই কিডনী রোগী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে উপজেলার সাতবাঁক ইউপির জুলাই মাঝরচটি গ্রামের মৃত ক্বারী জামাল উদ্দিনের ছেলে সাবেক শিবির নেতা আব্দুল খালিক (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকার ৯টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। বিকেল ৪টায় আব্দুল খালিকের জানাযার নামাজ ও দাফন জুলাই মাঝরচটি গ্রামের জামে মসজিদে সরকারি বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, সাবেক শিবির নেতা আব্দুল দীর্ঘদিন ধরে কিডনী ও ডায়বেটিকস রোগে ভোগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ৪ জুন তাকে সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তার করোনা টেস্টের নমুনা নেওয়ার পর বাড়ীতে পাঠানো হয়। আব্দুল খালিকের অবস্থা গুরুতর হলে গত সোমবার তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তার করোনা রিপোর্ট সোমবার রাতে পজিটিভ আসে এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। অপর দিকে কিডনী রোগে দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্ত উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির পশ্চিম পাত্রমাটি গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার পুত্র ৬ মাস পূর্বে সৌদি ফেরত আব্দুস সালাম (৫০) কিডনী জনিত রোগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি কিডনী ডায়ালিসস করার জন্য সিলেটে চিকিৎসার জন্য গেলে তাকে করোনা টেস্ট করার ডাক্তাররা বলেন। গত ১ জুন কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার নমুনা দেন কিডনী রোগী আব্দুস সালাম। করোনার রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে চিকিৎসা করতে না পেরে নিজ বাড়ীতে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় গত ৪ জুন রাতে তিনি মারা যান। তার যথারীতি দাফন সম্পন্ন হয়। কিডনী জনিত রোগে মারা গেছেন বলে এলাকার লোকজন জানলেও করোনার নমুনা দেওয়ার ৮দিন পর গত সোমবার রাতে আব্দুস সালামের করোনার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। করোনা রিপোর্ট পাওয়ার পূর্বেই বিনা চিকিৎসায় মারা যান আব্দুস সালাম বলে তার স্বজন সহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত যে, এনিয়ে কানাইঘাটে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ জন তার মধ্যে ৩জনের রিপোর্ট পুনরায় পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে ৩জন সুস্থ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে।