তাহিরপুরে ৩ বছরেও শেষ হয় নি ২শ’ মিটার সড়কের কাজ

101
তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কে পানিতে নিমজ্জিত আনোয়ারপুর ব্রীজ এপ্রোচ সড়ক।

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
ঠিকাদারের গাফিলতি ও এলজিইডির উদাসীনতায় তিন বছরের শেষ হয়নি ২শ’ মিটার এপ্রোচ সড়কের কাজ। বর্ষার শুরুতেই সড়কে পানি, তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ এলজিইডির দায়সারা নজরদারী। এমনটাই জানালেন এ পথে যাতায়াত কারী যাত্রী সাধারণ ও ভুক্তভোগী।
তাহিরপুর এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কে বালিজুরী ইউনিয়নের আনোয়ারপুর রক্তি নদীর ব্রীজের পূর্ব পাশে ২শ’ ২৪ মিটার এপ্রোচ সড়ক নির্মাষের জন্য ২ কোটি টাকা দরপত্র আহবান করে ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এলজিইডি সুনামগঞ্জ। লটারীতে কাজের ঠিকা পায় আমিনুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজ। কাজ পাওয়ার পর যথা সময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করে ২০১৯ সালে বর্ষা মৌসুমে কাজ শুরু করে। কাজ চলমান অবস্থায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়কটি ভেঙ্গে যায় ২০১৯ সালে জুলাই মাসের দিকে। পরবর্তীতে কাজের ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে ২ কোটির টাকার অধিকাংশ টাকাই উত্তোলন করা হয়, সেই সাথে নতুন করে রিভাইস করে আরো ১ কোটি টাকা ব্যয়ভার বাড়ানো হয় ২০২০ সালে মার্চ মাসে। কিন্তু অদ্যবদি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কে কাজের কোন খোঁজ খবর নেয়নি। বর্তমানে নদীতে সামন্য পানি বৃদ্ধি পেয়েছে আর সামান্য পানির থোরে অরক্ষিত সড়কটি আরও ভেঙ্গে গেছে। শনিবার মধ্যরাত থেকেই এপ্রোচ সড়কের উপর দিয়ে যাদুকাটা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এপ্রোচ সড়ক মেরামত না থাকায় তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি বাদলে নদীতে পানি বাড়বে আর ব্রীজের এপ্রোচ সক পানিতে তলিয়ে যাবে সড়ক যোগাযোগে দেখা দেবে অচলাবস্থা।
এ পথে যাতায়াত কারী তাহিরপুর সদর উজান তাহিরপুর গ্রামের সিএনজি চালক ইসলাম উদ্দিন, ঠাকার হাঠি গ্রামের মোটর বাকি চালক হোসনাত আলম বলেন, সামন্য ১শ’ মিটার সড়ক নির্মাণ করতে ৩ বছর লাগার কথা নয়। ইচ্ছে করেই ঠিকাদার এমনটি করছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমিনুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজ এর ঠিকাদার আবুল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার পর নতুন করে সড়কটির ডিজাইন করা হয়। ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে গত মার্চ মাসে। সে সময় করোনার জন্য লকডাউন থাকায় আমরা কাজটি শুরু করতে পারি নি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি বলেন, অনেকদিন ধরে দেখছি সড়কটি মেরামতের কাজ চলছে কিন্তু মেরামত আর হচ্ছে না। আমি এ বিষয়ে এলজিইডির ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, আমি এ বিষয়টি অনেকদিন আগেই এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুনামগঞ্জ কে অবহিত করেছি।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুনামগঞ্জ মাহবুবুর রহমান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সড়কটি নতুন করে ডিজাইন করা হয়। সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনা স্থলে এসেছি। করোনার কারণে যথা সময়ে কাজটি শুরু হয়নি। পানি কমলে কাজটি শুরু হবে, তাছাড়া পানির মধ্যে কাজ করলে কাজ ভাল হবেনা বলেও তিনি জানান।