কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল এক কিশোরী। এ ঘটনায় নির্বাহী কর্মকর্তা তিনজনকে আটক করে থানায় সর্পদ করেছেন। সোমবার বেলা আড়াইটায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদে উবাহাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, সদর ইউনিয়নের বাদে উবাহাটা গ্রামের আব্দুল বাছিতের মেয়ে মাদ্রাসাছাত্রী শারমীন বেগমের (১৩) সাথে একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জহির আলম (২৮) এর বিয়ে ঠিক হয়। দুই পরিবারের সম্মতিক্রমেই বিয়ের দিন ধার্য্য করে সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতার সম্পন্ন করা হয়। শারমীনকে প্রাপ্তবয়স্কা দেখাতে ভুয়া জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে ১৯ বছর উল্লেখ করে একটি কার্ড তৈরী করা হয়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে আয়োজন বন্ধ করেন। পরে কনের বাবা আব্দুল বাছিত, বর জহির আলম ও তার বাবা আবুল হোসেনকে আটক করে কমলগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেন ইউএনও।
কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ ও তিনজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিভাবে বয়স বাড়িয়ে জন্ম নিবন্ধন কার্ড করা হলো তা আমি বুঝতে পারছি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও এ ঘটনায় বরসহ তিনজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
