করোনা ভাইরাসজনিত কারণে এবার ফেইসবুক ও ওয়েবসাইট থেকে এসএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার ৮২.৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সরকারপ্রধান রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফল প্রকাশ করেন। এরপর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তন থেকে ফেসবুক লাইভে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। মাধ্যমিক, তথা এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় গত বছর ৮২.২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।
এবার ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পাস করেছে। ৯টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৭৫ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে ৮২.৫১ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭১.৭০ শতাংশ। পাসের হারে ছাত্রীরা এবারও এগিয়ে আছে। ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৬৩ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.১০ শতাংশ। এবার ১০ লাখ ২১ হাজার ৪৯০ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯২ জন। আর ১০ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩১ জন।
এবার কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাই প্রকাশের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফল জানার জন্য জমায়েত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ফল পাঠানো হবে না।
ফল প্রকাশের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসও বন্ধ রাখতে বলেছে বোর্ডগুলো। অন্য বছরের মতো এবারও মোবাইলে এসএমএস করে পরীক্ষার ফল জানা যাবে। যারা প্রি-রেজিস্ট্রেশন করেছে তারা এসএমএসে ফল পেয়ে যাবে। প্রকাশের পরও এসএমএস করে ফল পাওয়া যাবে বলে আন্ত:শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন। নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল জানা যাবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ই-মেইলে কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানের ফল পাওয়া যাবে। ডিসি ও ইউএনওর অফিস থেকে ফলাফলের হার্ডকপিও সংগ্রহ করা যাবে বলে আন্ত:শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।
পাসের হারে টানা অষ্টমবারের মতো শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড এবং জিপিএ ৫ পাওয়ায় এবারও শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বোর্ড। রাজশাহী বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ৯০.৩৭ শতাংশ এবং সিলেট বোর্ডে সবচেয়ে কম ৭৮.৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সার্বিকভাবে গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার বেশি। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফলাফল ভালো করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানের খারাপ ফলের কারণ খুঁজে বের করে বোর্ডগুলো প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও জবাবদিহির ব্যবস্থা করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা আশা করি।