কাজিরবাজার ডেস্ক :
লিবিয়ায় অপহরণকারীদের গুলিতে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে না। দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মিজদা শহরেই মরদেহগুলো দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘লাশগুলো সেখানে (মিজদায়) দাফন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই এটা মেনে নিতেই হবে।’
তিনি জানান, ঘটনাস্থল মিজদার একটি হাসপাতালে বর্তমানে লাশগুলো রয়েছে।
মিজদা খুবই ছোট একটি অনুন্নত শহর, সেখানে লাশগুলো সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই।
এছাড়া যুদ্ধকবলিত এলাকা হওয়ায় এবং লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরের এলাকা হওয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির সঙ্গে মিজদা শহরের যোগাযোগের ব্যবস্থাও বেশ খারাপ বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।
আর করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ধরনের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাশগুলো মিজদা শহর থেকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এসব কারণে লাশ হস্তান্তর করার বা লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ আমরা দেখছি না। তাই আমরা লাশগুলো দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তাদের পরিবারের সাথে কথাবার্তা বলছি।’
দূতাবাসের এই কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন যে, আজ থেকেই লাশগুলো দাফনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের মিজদা অঞ্চলে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন আরও ১১ জন বাংলাদেশি। তারা সবাই অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
অবৈধভাবে লিবিয়ার বেনগাজি বন্দরে পৌঁছে কয়েক মাস গোপনে ছিলেন এই অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেনগাজি থেকে উপকূলবর্তী যুওয়ারা অঞ্চলে যাওয়ার পথে অপহরণকারীদের কবলে পড়েন তারা। এরপর ২৮ মে সকালে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জন মারা যায় বলে জানায় লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার।