বেঁচে থাকলে ঈদ উদযাপনের অনেক সুযোগ পাব -ওবায়দুল কাদের

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে ঈদের আনন্দ উদ্যাপনের চেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এবার এক ভিন্ন বাস্তবতায় ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদের আনন্দ উদযাপনের চেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বেঁচে থাকলে আমরা ঈদ উদ্যাপনের সুযোগ পাব।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর কেন্টিনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে অসহায় গরীব মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের আগে তার সরকারী বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে তিনি আরও বলেন, এখন করোনাবিরোধী লড়াইয়ে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালন করি, স্থানান্তর না করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
সরকার দুটি চ্যালেঞ্জ পার করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখন দুটা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। একটি হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা এবং আরেকটি হচ্ছে সুপার সাইক্লোন আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে সাইক্লোন পরবর্তী পুনর্বাসন তৎপরতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় অতীতের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে সাফল্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দুর্যোগের অমানিশায় অলো হাতে আঁধারের সাহসী কান্ডারী। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে চলছে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্বাসনের কাজ। সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সিভিল প্রশাসনকে উপদ্রব এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা, পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বেড়িবাঁধ মেরামত কাজ করছে। পাশাপাশি পুলিশ ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ কাজে এগিয়ে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোন দুর্যোগে থেমে থাকেনি বাংলাদেশ। প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে মর্যাদার সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়ান এক দেশ বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা করোনাভাইরাস সঙ্কট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ। আপনারা সবাই মনে সাহস রাখুন, মনোবল হারাবেন না। দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে পরীক্ষিত নেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে।
করোনাভাইরাস সঙ্কটে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা সঙ্কটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ত্রাণ তৎপরতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মাটি ও মানুষের দল আওয়ামী লীগ অতীতেও মানুষের সঙ্গে ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছিন্নমূল শিশু, ভাসমান ও অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদের আগে উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি সারাদেশের দলের নেতাকর্মীদের ঈদের আগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পুনর্বার আহ্বান জানান।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর মহামারী করোনাভাইরাস দুর্যোগে খেটে খাওয়া, পথচারী, ছিন্নমূল প্রায় ৪০০ শিশু ও তাদের মা-বাবার মাঝে ঈদের পোশাক ও খাদ্য বিতরণ করা হয় সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে।