স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত ৫ নার্সের ৪ জনকে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা স্ব-স্ব বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। গতকাল শনিবার ৪ নার্সের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাদের শামসুদ্দিনে ভর্তি করা হয়। অন্য দুইজন নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
এদিকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, চিকিৎসক আক্রান্তের পর ১৪ নার্সের নমুনা শনাক্ত করা হলে গত শুক্রবার ৫ জনের করোনা পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৫ নার্সসহ ১৩ জনের নমুনা পজিটিভ আসে।
অপরদিকে, হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দিলীপ কুমার ভৌমিকসহ ২ চিকিৎসককে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, এ ২ চিকিৎসকের একজন করোনা আক্রান্ত। অন্যজন করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হলেও দু’জনই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এছাড়া ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরও ৪ নার্সের অবস্থার অবনতি হলে তাদের হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ২২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর ১৫ জন সন্দেহজনক রোগী আছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. দিলীপ কুমার গত ৪ মে করোনা আক্রান্ত হন। প্রথমে তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত ১০ মে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেট বিভাগে ৩৫৯ জনের করোনা রোগী শানাক্ত হয়েছে। এদেরমধ্যে সিলেট জেলায় ১১৬ জন, সুনামগঞ্জে ৬৮, হবিগঞ্জে ১১৮ এবং মৌলভীবাজারে ৫৭ জন। এরমধ্যে গত ৫ এপ্রিল সিলেটে প্রথম করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিনসহ বিভাগের ৬ জন এই রোগে মারা যান।