কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। এ সময়ে নতুন শনাক্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ৮৮৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ হাজার ৬৫৭ জনে। একই সময়ে ১৪জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৮ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২৩৬জন।
রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৬৪২টি। পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৩৮টি। আগের সংগ্রহ থেকেও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৮৮৭ জন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এর আগে গত ৫ মে একদিনে সর্বোচ্চ ৭৮৬জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
নাসিমা আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৪জন। তার মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। মৃত পুরুষরা বয়স বিবেচনায় ৯১-১০০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ২ জন ও ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন। আর নারীরা ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১ জন ও ৬০-৭০ বছরের মধ্যে দুজন। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৮ জনে।
এছাড়া, নতুন ২৩৬ জন সুস্থসহ মোট ২,৬৫০ জন সুস্থ হলেন জানিয়ে এ অধ্যাপক আরও বলেন, আমাদের সুস্থ হওয়ার হার ১৮.০১ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১.৫ শতাংশ।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো ছুটি চলবে ১৬ মে পর্যন্ত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮০ হাজার ৪৩২ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ৭৮৮ জন। অপরদিকে ১৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৮ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।