স্পোর্টস ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার থেকে বিধ্বংসী অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, সকলেই চান দর্শকঠাসা মাঠেই হোক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী রিচার্ড কোলবেক জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে তাঁদের সমস্যা হবে না। কিন্তু দর্শকশূন্য গ্যালারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতা থেকে কি তাঁরা লাভ করতে পারবেন?
তাছাড়া সমর্থক না থাকলে বিশ্বকাপের উত্তেজনায় ভাটা পড়বে বলেও ধারণা ক্রীড়ামন্ত্রীর। একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে, দর্শকশূন্য গ্যালারিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করলে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার লোকসান হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে ডিসেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজও রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। বিরাট কোহলি বনাম স্টিভ স্মিথের সেই দ্বৈরথ নিয়ে ইতিমধ্যেই কৌতুহল তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এখন সেই সিরিজ নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
এক অস্ট্রেলীয় রেডিও চ্যানেলে কোলবেক বলেছেন, ‘ডিসেম্বরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচও আমরা করতে চাই। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যও মুখিয়ে রয়েছি। সূচি নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। নানা ধরনের বিধি মেনে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে সমস্যা হবে না। কিন্তু মাঠে দর্শকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে। সেটা মাথায় রাখতে হবে।’
কোলবেক আরও বলেন, ‘আমরা জানি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁদের সম্পূর্ণ আলাদা রাখার ব্যবস্থাও করতে রাজি। কিন্তু করোনার প্রভাব রুখতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। যেমন করোনা প্রভাবিত দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ। বিশ্বকাপ হলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলতে হবে। ক্রিকেটারেরা আসুন, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু ভিন দেশের সমর্থকদের আটকানো হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ আইসিসি টুর্নামেন্টের প্রথা অনুযায়ী যদিও বাছাই করা দেশের সমর্থকদের আটকানোর কোনও নিয়ম নেই।
কোলবেক জানিয়েছেন, আলোচনা এখনও চলবে। তবে আগস্টের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে, তাঁরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ আদৌ আয়োজন করবেন কি না। করলেও সমর্থকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। কোলবেক শেষে বলেন, ‘সবদিক থেকেই আমরা তৈরি থাকব। সবরকম নির্দেশ, পরামর্শ মেনেই কাজ চলবে বিশ্বকাপ আয়োজনের।’