কাজিরবাজার ডেস্ক :
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার নম্বর ও বিষয় কমানো হবে কি না আগামী ৩১ মে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সচিবালয়ে রবিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভা শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এনসিসিসির সভায় গতকাল কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও শিক্ষার্থীদের উপর থেকে চাপ কমাতে জেএসসি-জেডিসির বিষয় ও নম্বর কমনোর পক্ষেই সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন সচিব।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর বেশি চাপ পড়ছে বলে আমরা চাপ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আপাতত কিছু বিষয় কমানো যায় কি না, কমালে এ বছর থেকেই বাস্তবায়ন করব।জেএসসি-জেডিসিতে বিষয় ও নম্বর কমানো নিয়ে যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন —এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেন সচিব।
জেএসসি-জেডিসিতে বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। সম্প্রতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সভায় সাতটি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়।
অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষায় এমসিকিউ বাতিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও এমসিকিউ বাদ দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন শিক্ষা সচিব।
তিনি বলেন, আমি সব সময় এমসিকিউ-এর বিপক্ষে। এমসিকিউ অত্যন্ত উন্নতমানের একটা পদ্ধতি। কিন্তু আমরা সেই পর্যায়ে এখনও পৌঁছাইনি। এমসিকিউ-এর জন্য মরিয়া হয়ে মানুষ অনেক কিছু করছেন।যে পরীক্ষা কাউকে সঠিক মূল্যায়ন করতে সহযোগিতা করে না বা সঠিক মূল্যায়ন করে না—সে পরীক্ষা থাকার কোনো যুক্তি নেই বলে আমি মনে করি।
বোর্ড চেয়ারম্যানরা প্রস্তাব করেছেন, জেএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজি প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্র মিলে হবে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা। এই দুই বিষয়ে এখন দুই পত্রের জন্য দেড়শ নম্বরের দুটি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এছাড়া বোর্ড চেয়ারম্যানরা চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূল্যায়নের সুপারিশ করলেও গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা আগের মতই রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।