কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের হানায় দিশেহারা ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে আসায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। এর একদিন পরেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়।
এক মাসের বেশি সময় পর সোমবার লকডাউন শিথিল করে স্পেন। দেশটির অবকাঠামো শিল্প ও কারখানাগুলো সচল করা হয় এই উদ্যোগে।
বুধবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আগের ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ১০০ জন বেড়েছে। বিবিসি বলছে, গত এক পাঁচ দিনে স্পেনে এত রোগী ধরা পড়েনি যা এক দিনে ধরা পড়েছে।।
এদিকে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ পার্লামেন্টে বক্তৃতায় হতাশ কণ্ঠে বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা দেখছি না।
পরিস্থিতির উন্নতি দেখে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ লকডাউন শিথিলের দিকে এগোলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সপ্তাহেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে সামান্য অবনমন দেখে কোনো দেশ যদি আগেভাগে বিধিনিষেধ তুলে নেয়, তাহলে ভাইরাসটির আরও ভয়ংকর প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে।
নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে স্পেনে। এদিন ৫২৩ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটেছে দেশটিতে।
করোনাভাইরাসে স্পেনে এই পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৭৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালির পর এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে স্পেন; দেশটিতে মোট ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩৩ জনের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে।
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ড. মার্গারেট হ্যারিস বলেন, এটি গোটা বিশ্বে প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে ৯০ শতাংশ আক্রান্তের খবর আসছে।সুতরাং আমরা অবশ্যই এর এখনো শিকড় দেখতে পাচ্ছি না।
ভ্যাকসিন নিয়ে হ্যারিস বলেন, আমরা সত্যিকার অর্থে ১২ মাস বা তার বেশি সময় ছাড়া ভ্যাকসিন দেখার আশা করা উচিত না।