কাজিরবাজার ডেস্ক :
২০২২ সাল পর্যন্ত সামাজিক দূরত্বে থাকতে হবে বিশ্বকে। না হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ অতিমহামারীতে আক্রান্ত হবেন। হাসপাতালে তাদের জায়গা দেয়া যাবে না।
সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘আগামী দিনে নির্দিষ্ট ঋতুতে বারবার ফিরে আসতে পারে কোভিড ১৯। ওই রোগ সাধারণ সর্দিকাশির চেয়ে অনেক বেশি ছোঁয়াচে। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা এখনও নতুন রোগটির সম্পর্কে বেশিকিছু জানি না। একবার সংক্রমণ হলে শরীরে কী ধরনের প্রতিরোধক্ষমতা জন্মায়, সেই ক্ষমতা কতদিন বজায় থাকে, আমরা কিছুই জানি না।’
বিজ্ঞানীদের অন্যতম স্টিফেন কিসলার বলেন, ‘আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, কিছুদিনের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই যথেষ্ট নয়। আমেরিকার চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভবিষ্যতে দফায় দফায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কোভিড ১৯ এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। রোগ ঠেকাতে বারে বারে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখাই হল পথ।’
বিজ্ঞানীদের মতে, ভবিষ্যতে যখনই রোগটি ফের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে, তখনই ব্যাপক হারে টেস্ট করা প্রয়োজন। করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হলে লকডাউনের সময়সীমা কমানো যেতে পারে।
লকডাউনের সময় কিছু ছাড়ও দেয়া যেতে পারে। কিন্তু যতদিন ভ্যাকসিন না বেরোচ্ছে, ততদিন মাঝে মাঝেই লকডাউন চালিয়ে যেতে হবে। যখনই ছাড় দেয়া হবে, তখনই বাড়বে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু মাঝে মধ্যে লকডাউন হলে হাসপাতালগুলো তাদের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ক্ষমতা বাড়াতে পারবে।
একইসঙ্গে টানা দীর্ঘদিন লকডাউন বা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিরোধিতা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সময় জনসাধারণের মধ্যে কোনো প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয় না। সেজন্য মাঝে মাঝে লকডাউনে ছাড় দেয়া দরকার।