দিরাই থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১২ এপ্রিল) সকালে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্তরা হচ্ছেন দিরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ভাই, ভাতিজা ও ভাগ্নে।
জানা গেছে, দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ডা. স্বপন সরকার কর্তব্য পালনকালে গতকাল সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীর অসুস্থতার কথা বলে তার ভাগ্নে রাজিব ডা. স্বপনকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে যেতে চান। এ সময় ডা. স্বপন সরকার এই করোনার সময়ে ডিউটি ছেড়ে বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দিতে অসম্মতি জানিয়ে বলেন, যে কোনো সময় সিরিয়াস রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে আসতে পারে। এই সময়ে ডিউটি রেখে আমার যাওয়া ঠিক হবে না। আপনারা উনাকে এখানে নিয়ে আসুন। আমি চিকিৎসা দেবো। ’
ডা. স্বপনের কথা শুনে রাজিব উত্তেজিত হয়ে চলে যান এবং কিছুক্ষণ পরেই চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীর ভাই-ভাতিজাদের নিয়ে এসে ডাক্তারকে মারতে উদ্যত হন। এসময় লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে যান এবং মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীর ভাই-ভাতিজা ও ভাগ্নেদের বাধা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ডা. স্বপন সরকার বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীর ভাই-ভাতিজারা আমাকে মারতে আসেন। আমি এই সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ডিউটি ছেড়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাইনি বলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারতে আসেন এবং লাঞ্ছিত করেন । এমনকি আমার দিকে চেয়ারম্যানের ভাই মসজিদের দানবাক্স ছুড়ে মারেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।