এই মাসটা খুবই ক্রিটিক্যাল – স্বাস্থ্যমন্ত্রী

12

কাজিরবাজার ডেস্ক :
চলতি মাসে (এপ্রিল) দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এই মাসটা খুবই ক্রিটিক্যাল।’
চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই মাসটা আপনারা আরও বেশি করে নজরদারি করবেন। সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করবেন। মানুষের সেবায় কাজ করার সুযোগ সবসময় হয় না। সুতরাং সুযোগ পাওয়াটা বিরাট বিষয়। মানুষের পাশে দাঁড়ালে আল্লাহ তায়ালা খুশি হবেন।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ওষুধ প্রশাসন ভবনে মাঠ পর্যায়ের চিকিৎসকদের করোনা মোকাবিলায় ২৯৭টি জিপগাড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার ওপর জোর দিয়ে দেশের প্রতি উপজেলায় দিনে ১০ থেকে ২০টি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষার পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটিমাত্র ল্যাব ছিল। এখন ১৭-১৮টি ল্যাব আছে। আগামী দিনে আরও দশটি ল্যাব চালু হয়ে যাবে। উপজেলায় যারা দায়িত্বে আছেন তারা চেষ্টা করবেন টেস্ট (পরীক্ষা) যেন ভালো হয়। প্রত্যেক উপজেলায় প্রত্যেকদিন যেন অন্তত ১০-২০ জনের পরীক্ষা হয়।
যত বেশি করোনা টেস্ট করা হবে তত বেশি শনাক্ত করে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, যেসব বাড়িতে বিদেশ থেকে লোক আসছে এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে বেশি করে পরীক্ষার উপকরণ সংগ্রহ করবেন। যত বেশি পরীক্ষা করাবেন আমরা তত শনাক্ত করতে পারব। করোনাভাইরাসের প্রধান কাজ হলো যাতে সংক্রমণ না হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, বিদেশ থেকে যারা এসেছিল তাদেরকে আমরা হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছিলাম এবং এখনও আছেন অনেকে। আপনারা চেষ্টা করেছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইন যেন সফল হয়। আপনাদের চেষ্টার কারণেই পৃথিবীর মধ্যে এখন আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের এত ঘনবসতি এবং ১২ লাখ লোক বিদেশ থেকে এসেছে তারপরও আমরা ভালো আছি এবং এই ভালো থাকার পেছনে হাজার লোক কাজ করছে।
গাড়িগুলো রক্ষণাবেক্ষণে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা সরকারি সম্পদ। আর সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের। যেহেতু আপনাদের হাতে তুলে দেয়া হলো আপনারা নিজের গাড়ির মতো রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। যে গাড়ির চালক হবে সেজন্য প্রকৃত চালক হয়। গাড়ি প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন, নিজের কাজে ব্যবহার করবেন না। এটা সরকারি গাড়ি সরকারি কাজেই আপনারা ব্যবহার করবেন। এই গাড়ির মাধ্যমে আমরা আশা করি আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে আমরা খুশি। এর মধ্যে সবথেকে বেশি কার্যকর করা হচ্ছে লকডাউন। আপনারা জানেন সিঙ্গাপুরে নতুন করে লকডাউন দেয়া হচ্ছে। কাজেই লকডাউন আরও বেশি কার্যকর করার পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে। মসজিদে কীভাবে জামাত হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মক্কা মদিনায় দেখেন আজকে মসজিদে নামাজ পড়ে না, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারা কারফিউ দিয়েছে। আশেপাশের দেশগুলোতে অনেক আগেই মসজিদে নামাজ পড়া সীমিত করে দিয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আরও খুশি হয়েছি প্রধানমন্ত্রী বাজারে যাওয়ার সময়টা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কখন বাজারে যাওয়া যাবে কখন বাজারে যাওয়া যাবে না অর্থাৎ জটলা পাকানো যাবে না। এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়।