চীনের উহান থেকে লকডাউন উঠলো

28

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাস মহামারিতে লকডাউন অবস্থায় রয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। ঘরবন্দি কয়েকশ কোটি মানুষ। এমন মুহূর্তে লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান সিটির। এই শহরেই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল এবং এখান থেকেই তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হয়।
বুধবার উহানের লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। এখন থেকে সেখানকার মানুষের ওপর আর কোনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নেই। তারা যেখানে খুশি যেতে পারবেন। তবে তাদের শারীরির অবস্থা পরিমাপক অ্যাপে সুস্থতার চিহ্ন থাকতে হবে।
গত ২৩ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন করা হয় উহানকে। সেই হিসাবে প্রায় ৭৬ দিন পর তুলে নেয়া হলো লকডাউন। অথচ করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব এখন কার্যত বন্দি।
জানা গেছে, লকডাউন ওঠার পরই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। কয়েক লাখ মানুষের ভিড় হয়েছে বাস ও রেল স্টেশন ও বিমান বন্দরগুলিতে। মূলত যারা এতদিন উহানে এসে আটকে পড়েছিলেন তারাই প্রথম অবস্থাতেই নিজেদের জায়গায় ফিরতে চাইছেন। এছাড়া উহানবাসীও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন।
তবে লকডাউন তোলা হলেও সব বিধিনিষেধ এখনও এই শহরের থেকে তোলেনি বেইজিং। শহর ছাড়তে এখনও কিউআর কোড প্রদর্শন করতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হুবেই প্রদেশের স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে আগেই একটি কিউআর কোড দেওয়া হয়েছিল শহরের লোকেদের। ওই কোডটি স্ক্যান করে ভ্রমণকারীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন টহলরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া উহান থেকে সরাসরি যারা রাজধানী বেইজিংয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ডিসেম্বরের একদম শেষ থেকে চীনে শুরু হয়েছিল করোনা সংক্রমণ। এরপরেই ২৩ জানুয়ারি কড়া সিদ্ধান্ত নেয় বেইজিং। লকডাউন করে দেওয়া হয় শহরটিকে। এর ফলে উহানের ১ কোটি ১০ লাখ নাগরিক সম্পুর্ণ রূপে আটকে পড়ে।
মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসে। ২৪ মার্চ এক সপ্তাহ ধরে উহানে নতুন কোন আক্রান্তের ঘটনা না ঘটায় শর্তসাপেক্ষে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে শহর কর্তৃপক্ষ। এর ১১ দিন পর এবার লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হলো।
করোনায় উহানের প্রায় ৫০ হাজার লোক আক্রান্ত হন এবং নিহত হয়েছেন ২৫৭২ জন। গোটা চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৮০২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩৩৩ জনের।