গত মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকসহ মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণ ছুটি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ছে। পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি থাকছে। ভিডিও কনফারেন্সে বাংলা নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ চলমান সংকটকে সব দিক থেকেই মোকাবেলা করতে চাইছেন তিনি। সরকারের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এসব নির্দেশনা মেনে চলা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। কেননা নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। সাধারণ ছুটির সময় সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ অবস্থায় গ্রামের চাইতে শহরাঞ্চলে মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ার কারণও রয়েছে। এখানে বহু কর্মজীবী মানুষ কাজ না পেয়ে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। ত্রাণের গাড়ির পেছনে ছুটেও অনেকে পাচ্ছে না ত্রাণ। বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা না থাকায় সরকার ঘোষিত বন্ধের মধ্যেও আইন অমান্য করে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। অবশ্য করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে শহর ও গ্রামে যেসব কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে খাদ্য সমস্যায় আছে, তাদের তালিকা তৈরি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এখন সবাইকে যার যার অবস্থানে থেকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। ঘরে থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি অন্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেমন নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারলে মানুষ ঘরের বাইরে যাবে না। এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাঠে নামতে হবে।