ইমজার সাথে ঢাকার ক্রীড়া সাংবাদিকদের এক আনন্দঘন দিন

15

পেশায় সবাই সাংবাদিক। কেউ টেলিভিশন, কেউ সংবাদপত্র, কেউবা অনলাইনের। রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত সংবাদকর্মীর জীবন তাদের। সিলেটেও এসেছেন বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে সিরিজের সংবাদ সংগ্রহে। বুধবার সিলেটের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও ঢাকার সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজন করা হয় একটি প্রীতি টুর্নামেন্ট। মেন্দিবাগস্থ আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, বাফুফের সদস্য ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাহার স্বত্ত্বাধিকারি মাহি উদ্দিন সেলিম। সকাল নয় টায় টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন তিনি। ইমজার সভাপতি মাহবুবুর রহমান রিপনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রীর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির, ইমজার সাবেক সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, আশরাফুল কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মনজু, আনিস রহমান, আব্দুল আলিম শাহ, দেবাশীষ দেবু প্রমুখ।
টুর্নামেন্টে ঢাকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে গড়া দুটি দলের সাথে অংশ নেয় ইমজার দুটি দল। ঢাকার প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া দলটির নেতৃত্ব দেন বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরের আরিফুল ইসলাম রনি। টেলিভিশন সাংবাদিকদের নিয়ে গড়া দলের নেতৃত্বে ছিলেন এনটিভির সুব্রত সাহা। এছাড়া ইমজার দুটি দলের নেতৃত্ব দেন চ্যানেল এসের মঈন উদ্দিন মনজু ও এটিএন নিউজের সজল ছত্রী।
প্রথম ম্যাচে ইমজা দলের সাথে মুখোমুখি হয়ে ঝলসে ওঠেন প্রিন্ট মিডিয়ার বোলাররা। বোলারদের সম্মিলিত আক্রমণে মাত্র ৬৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় ইমজার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন। রান তাড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হলেও ৮ ইউকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় ডাকার প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার দলটি। সর্বোচ্চ ২৮ রান করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন আর টিভি অনলাইনের মেহেদি হাসান রূপক।
দ্বিতীয় ম্যাচে ইমজার দ্বিতীয় দলটি ধীরে সুস্থে শুরু করলেও ফিল্ডিংয়ে গুরুতর ইনজুরির শিকার হন ঢাকার টেলিভিশন সাংবাদিকদের নিয়ে গড়া দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সময় টেলিভিশনের সাজিদ মুস্তাহিদ। দলটির মনোবল কিছুটা ভেঙে আসার সুবিধা নিয়ে ইমজার দি¦তীয় দলের ব্যাটসম্যান চ্যানেল এসে মাহমুদুর রহমান মিলন প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দেয় বিপক্ষকে। তার ৭৮ রানে ভর করে ১২৪ রান সংগ্রহ করে জয় নিশ্চিত করে ফেলে ইমজা। জবাব দিতে গিয়ে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৯০ রানে থেমে যায় ঢাকার টেলিভিশন সাংবাদিকদের নিয়ে গড়া দলটি।
তবে ফাইনালে রানের চাকা সচল রাখতে পারেনি ইমজা। ফলে সহজ জয় পায় ঢাকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে গড়া দল। লো স্কোরিং ম্যাচে বিজনেস স্টান্ডার্ডেও শান্ত মাহমুদের অলরাউন্ড নৈপুন্যে ৮ উইকেটে জয় পায় দলটি। ম্যান অব দ্যা ফাইনালও হন শান্ত।
টুর্নামেন্ট শেষে বিজয়ি দলের সদস্য ডেইলি স্টারের একুশ তপাদার বলেন, প্রীতিম্যাচে জয় পরাজয়টা মুখ্য বিষয় নয়। সবার সাথে মিলে ক্রীড়া ও আমুদে একটি দিন কাটাতে পেরে সবাই উচ্ছ্বসিত। দুর্ঘটনাক্রমে একজন ইনজুরির শিকার হলেও ঢাকা ও সিলেটের সাংবাদিকদের মেলবন্ধনে চমৎকার একটি দিন ছিল। তিনি এই আয়োজনের জন্য ইমজাম, মাহা, জেলা ক্রিড়া সংস্থা ও মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিমকে ধন্যবাদ জানান।
এনটিভির সুব্রত সাহাও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, খেলার সংবাদসংগ্রহকারীদের নিজেদের খেলায় অংশগ্রহণ করার আনন্দ অন্যরকম আনন্দঘন।
পুরস্কার বিতরণিতে উদ্বোধক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিমের সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকি। আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, ইমজার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ রেনু, দৈনিক প্রথম আলোর স্পোর্টস বিভাগের প্রধান তারেক মাহমুদ প্রমুখ। ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কারের সাথে অতিথি দুই দলের হাতে স্মারক টি শার্ট তুলে দেন অতিথিরা।
পুরস্কার বিতরণ শেষে প্রীতিভোজে অংশ নেন খেলোয়াড় ও অতিথিবৃন্দ। এসময় সিলেট জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বাফুফে সদস্য মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম আগামী ২৭ মার্চ ঢাকা ও সিলেটের সাংবাদিকদের নিয়ে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। বিজ্ঞপ্তি