কাজিরবাজার ডেস্ক :
তৃণমূলে দুর্নীতি প্রতিরোধ, কথিত গডফাদার শনাক্ত এবং আইনের আওতায় আনতে ২২ সমন্বিত জেলায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার সংস্থাটির ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে কমিশনের নিজস্ব গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আর এসব গোয়েন্দা কর্মকতার কার্যক্রম নিবিড় নজরদারি করার জন্য পরিচালক পদমর্যাদার আরও আটজন কর্মকর্তাকে শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘তৃণমূল থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই দুদকের এই কর্যক্রম। এর ফলে তৃণমূল থেকে সহজেই দুর্নীতির উৎখাত করা সহজ হবে।’
দুদক জানায়, দুর্নীতির কুখ্যাতি রয়েছে, এমন কর্মকর্তাদের ঘুষ-দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করে এসব গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়মিত প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবেন। এছাড়া সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে যারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করছেন তাদের চিহ্নিত করা যাবে।
এছাড়া দুদকের একটি সূত্র জানায়, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনৈতকতার মাধ্যমে যে বা যারা অবৈধ সম্পদ অর্জন করছেন, তাদের সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবেন তারা। আধুনিক গোয়েন্দা ব্যবস্থাপনায় যেভাবে তথ্য বিন্যাস করা হয়, ঠিক একইভাবে তা সংরক্ষণ করা হবে।
দুদক সূত্র আরও জানায়, গোপনীয় একটি বিশেষ কোডের মাধ্যমে এসব কর্মকর্তা কমিশনে গোয়েন্দা তথ্য পাঠাবেন। কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের গোয়েন্দা শাখা এসব তথ্য নিয়মিত কমিশনে উপস্থাপন করবে। পূর্ণাঙ্গ কমিশন এসব তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ উদ্বোধনকালে সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গোয়েন্দা নিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, জেলায়-জেলায় কারা গডফাদার, কারা সন্ত্রাস করে বিপুল অর্থের মালিক হচ্ছেন, কারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ উপার্জন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য নেয়া এসব কর্মকর্তার কাজ। যার ভিত্তিতে প্রধান কার্যালয় থেকে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।