বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক নারীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত দশটায় পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে। উপজেলার দাসেরবাজার ইউপির পানিশাইল গ্রামের লন্ডন প্রবাসী জয়নাল উদ্দিনের দ্বিতল বাড়ির একটি কক্ষের ভেতরে লাশটি পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীর নাম সাহিদা বেগম (৩০)। তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রব্বান মিয়ার মেয়ে। জয়নাল প্রেম করে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে প্রবাসী জয়নাল উদ্দিনের কোনো খোঁজ মিলছে না। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাসেরবাজার ইউপির পানিশাইল গ্রামের লন্ডন প্রবাসী জয়নাল উদ্দিনের (৬০) দ্বিতল একটি বাড়ি রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে থাকেন। বাড়িটিতে কেউ থাকে না। বাড়িটি আমির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি দেখাশোনা করেন। তবে জয়নাল দেশে এলে মাঝে মধ্যে ওই বাড়িতেই থাকতেন। সম্প্রতি জয়নাল দেশে আসেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়নালের এক প্রতিবেশী স্থানীয়দের জানান জয়নাল উদ্দিনের দ্বিতল বাড়ির নিচতলায় এক নারীর ঝুলন্ত লাশ রয়েছে। রাত আটটায় স্থানীয়ভাবে খবর পায় পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় পায়নি। পরে পুলিশ বাড়ির ওপর তলার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে নারীর মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশটি থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে প্রবাসী জয়নাল উদ্দিনের কোনো খোঁজ মিলছে না। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, এক প্রবাসীর বাড়ির ভেতর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারীর গলায় ফাঁসের চিহ্নের মতো দাগ রয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এখন বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি আরও তদন্তের প্রয়োজন আছে। আমরা শোনেছি, জয়নাল রিলেশন করে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। মেয়েটি তাঁর বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন। এটা তাঁর (নারীর) স্বজনরাও বলছেন। তিনি বলেন, লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। জয়নালকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ রয়েছে।