আশা দেখছে চীন

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বের অন্তত ২৭টি দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন এই ভাইরাসটি দ্রুত গতিতে সংক্রমিত হওয়ায় এর লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত চীন প্রায় দুই মাস পর কিছুটা আশার আলো দেখছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত গত ১৫ দিনে করোনা ভাইরাসে নিহত ও আক্রান্তের সংখ্যার হিসেব দিয়েছে চীন। সেখানে দেখা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশ এবং এর বাইরে গোটা চীনে নিহত ও আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এছাড়া চীনজুড়ে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি।
চীনের স্বাস্থ্য কমিশন থেকে প্রকাশ করা তথ্যে দেখা গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি চীনের হুবেই প্রদেশের বাইরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৯০ জন। কিন্তু এরপর প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে কমেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৬ জন।
অন্যদিকে, ১ ফেব্রুয়ারি হুবেই প্রদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯২১ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র উহান শহরে একইদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৯৪ জন। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি এই মাত্রা সকল সীমা ছাড়িয়ে যায়। একই দিনে হুবেই প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ১৪ হাজার ৮৪০ জন। যার মধ্যে উহান শহরেই ওই দিনে আক্রান্ত হন ১৩ হাজার ৪৩৬ জন। তবে এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমছে হুবেইতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। ১৮ ফেব্রুয়ারি এই সংখ্যা ছিল ১৬৯৩ জন, এর মধ্যে উহানের ১৬৬০ জন।
এছাড়া চীনে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। করোনা রুখতে প্রতিটি অঞ্চলে মহা কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে চীন সরকার। প্রতিটি রাস্তাঘাট, বাড়ি এবং আঙিনায় রোবট, গাড়ি এবং মেশিন দিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। এসব কর্মযজ্ঞের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে বলে মনে করছে চীন। এমনভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুত করোনাভাইরাস পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদী চীন।