শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কে তীব্র যানজট, দেখার কেউ নেই !

19

জেড.এম. শামসুল :
জকিগঞ্জবাসীর বহুপ্রতীক্ষিত শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কটি রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে অরক্ষিত থাকায় অবৈধ ভাবে ভারী-ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচল করায় এবং বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় বাজারের নামে অবৈধ ভাবে স্থাপনা গড়ে উটায় সড়কটি যানজটের বাগাড়ে রূপ নিয়েছে। যহা জন-দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ সড়কটি জকিগঞ্জ-বিয়ানী বাজার উপজেলার অধীনে থাকায় কোন উপজেলার প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না। এ সড়ক দিয়ে ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচল করায় অহরহ যেমন দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়াছে, তেমনি আঁকা-বাঁকা সড়কের প্রয়োজনের তুলনায় ছোট কালভার্ট গুলোর এ্যাপোচ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ ভাবে ভারী-ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচল অব্যাহত থাকলে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। ‘‘এ সড়কের উভয় মুখে দু‘টো সাইন বোডে বড়-বড় অক্ষরে লিখা রয়েছে, এ সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, কোন প্রকার ভারী যান-বাহন চলাচল করলে আইনত; দন্ডনীয়’’ কিন্তু এ নিদের্শনার প্রতি কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে মালবাহী ভারী-ভারী ট্রাক রোডে রূপ নিয়েছে।
শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কটি জকিগঞ্জবাসীর বহু-কাক্সিক্ষত সড়ক যে সড়ক নির্মাণে জকিগঞ্জবাসী অনেক ত্যাগ তিতীক্ষা করতে হয়েছে, যদি ও দেশ-বিভাগের সময় জকিগঞ্জকে প্রস্তাবিত মহকুমা ঘোষণার পর জকিগঞ্জ মহকুমার অধিনে বিয়ানীবাজার অঞ্চল জকিগঞ্জ প্রস্তাবিত মহকুমার আওতাধীন থাকায় শেওলা-জকিগঞ্জ সড়ক নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দেয়। সে ১৯৪৮ সাল থেকে শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কের কার্যক্রম শুরু হলে ও ৯০ দশকে শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কের কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু হয়। ৯৪ সালে মাটি কাটার কাজ শেষ হলে পাকার কাজ হয়। যে ভাবে হউক ৯০ দশকের শেষ দিকে হালকা যাত্রী যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এ সড়ক দিয়ে শুধু হালকা যান-বাহন চলাচল করার নির্দেশ থাকলেও শুরু থেকে ভারী মালবাহী ট্রাকের লরী এমনকি ২৪ ঘন্টা মালবাহী ট্যাক চলাচল করায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে, সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। আঁকা-বাঁকা এ সড়কের কালভার্ট গুলো হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে। ট্রাকের ধাক্কায় অনেক কালভার্টের অবস্থা হুমকির মুখে।
এদিকে প্রয়োজনের তুলনার চেয়ে ছোট এ সড়কের পার্শ্বে বিভিন্ন স্থানে হাট-বাজার নির্মিত হয়ে পড়ায় এ গুলোর সুবাদে সড়কের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এ গুলোর মধ্যে জিরো পয়েন্ট, খাড়াভরা, মহিয়াখালী, মাদ্রাসা বাজার, বরইর তলা, ঈদগাহ বাজার সহ জকিগঞ্জ পৌর সভা এরাকায় প্রতিনিয়ত যানজটের কারণে পথচারী চলাচল করা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সব স্থান সমূহে বৈধ-অবৈধ যানবাহনের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ সব স্থানের আমে-পাশে রয়েছে, অসংখ্যক মাদ্রাসা, প্রাথমিক সহ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এ গুলোতে শিক্ষার্থীরা চলাচলে মারাত্মক ভাবে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। অনেক শিশু শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর ঘটনাও ঘটেছে। এ স্থান গুলোতে দুর্ঘটনা রোধে কোন পদক্ষেপ দেখা যায় না।
নাম প্রকাশে অনুইচ্ছুক একজন যাত্রীবাহী চালকের মতে; প্রয়োজনের চেয়ে ছোট এ সড়ক, এছাড়াও আঁকা-বাঁকা এ সড়কের উপর দিয়ে অহরহ ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচল করায় যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে অহরহ। বিঘ্ন ঘটছে, প্রায় সময় ট্রাক গুলো সড়কের মধ্যে নষ্ট হয়ে পড়লে বা দুর্ঘনা ঘটালে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। অনেক চালকের মত হচ্ছে, এ সড়ক দিয়ে ভারী-ভারী মালামাল বাহী ট্রাকের লরী চলাচল জন-স্বার্থে বন্ধ থাকা ভালো। স্থানীয় জনসাধারণের মতে ঘন-বসতি এলাকার মধ্যে দিয়ে এ সড়ক দিয়ে ট্রাক চলাচল বন্ধ করা খুবই জরুরী। এ সড়কে সবধরনের দুর্ঘটনা রোধে জরুরী ভিত্তিতে মালবাহী ট্রাকের লরী চলাচল বন্ধে কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়া খুবই প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।