গাম্বিয়ার মামলায় আইসিজের রায় ॥ গণহত্যা বন্ধ করে, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিন

27
Presiding judge Abdulqawi Ahmed Yusuf, fourth form right, starts reading a ruling at the International Court in The Hague, Netherlands, Thursday, Jan. 23, 2020. The United Nations' top court is scheduled to issue a decision on a request by Gambia to order Myanmar to halt what has been cast as a genocidal campaign against the southeast Asian country's Rohingya Muslim minority. (AP Photo/Peter Dejong)

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) গণহত্যা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্র্বতীকালীন জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার যে আবেদন গাম্বিয়া করেছে, তা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়) আইসিজের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুল কাভি আহমেদ ইউসুফ আনুষ্ঠানিকভাবে রায় দেয়া শুরু করেন। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রায় পড়ে শোনান বিচারপতি ইউসুফ। আইসিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি রায় ঘোষণা সম্প্রচার করা হয়। আদালতে ১৭ জন বিচারকের পূর্ণ প্যানেল সে সময় উপস্থিত ছিলেন। আইসিজে যখন অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন আদালত কক্ষে অপর ১৪ জন স্থায়ী বিচারপতি ও দুজন এ্যাডহক বিচারপতিও উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মিয়ানমারের প্রতি অবশ্য পালনীয় চারটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে আইসিজে। নির্দেশের উল্লেখযোগ্য হলো- মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং রাখাইন রাজ্যে এখন যে রোহিঙ্গারা বাস করছেন তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্বর্তী ৪ নির্দেশ হলো-
এক. মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সব ধরনের হত্যা, হত্যাপ্রচেষ্টা নিরসন করতে হবে। সেই সঙ্গে দূর করতে হবে তাদের যে কোন রকমের শারীরিক বা মানসিক ক্ষতির আশঙ্কা। নিশ্চিত করতে হবে তাদের অধিকার।
দুই. দেশটির সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী বা যে কেউ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর ব্যাপারে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র, উস্কানি বা কুকর্মে সহযোগিতার সুযোগ পাবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিন. রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন ধরনের প্রমাণ ধ্বংস করা যাবে না। সব প্রমাণ অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
চার. উপরোক্ত নির্দেশগুলো যথাযথভাবে যে পালিত হচ্ছে, ৪ মাস পর মিয়ানমার সে বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিজেকে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এরপর থেকে চূড়ান্ত রায় দেয়ার আগ পর্যন্ত প্রত্যেক ৬ মাস অন্তর অন্তর মিয়ানমারকে এ বিষয়ক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। সেসব প্রতিবেদন গাম্বিয়াকে দেয়া হবে। গাম্বিয়া সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে নিজেদের মতামত জানাবে।
রায় ঘোষণার শুরুতে শুনানির সূত্রে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের অবস্থান নিয়ে আদালতের বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। আদালত জানায়, গণহত্যা কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার রাখে। জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে গাম্বিয়ার দাবি যুক্তিযুক্ত। আদালত মিয়ানমারের আত্মপক্ষ সমর্থনের সমালোচনা করে বলে, ২০১৭ সালে মিয়ানমার যে সেনা অভিযান চালায় তাতে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। ব্যাপকহারে হত্যা, ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন বেসামরিক রোহিঙ্গারা। মিয়ানমার রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ও বেসামরিক রোহিঙ্গাদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করতে পারেনি।
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার বক্তব্য, এ বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য ও গণহত্যা কনভেনশনে উল্লেখিত গণহত্যার সংজ্ঞা অনুসারে মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর যে ধরনের নিপীড়ন ও সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে তা গণহত্যার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে জানায় আদালত। মিয়ানমারে এখনও বিভিন্ন ক্যাম্পে ৬ লাখ বিপন্ন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। আরও বিস্তারিত তদন্ত, সুস্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের আগে আদালত এখনই চূড়ান্ত রায় দেবে না। এজন্য আরও সময় প্রয়োজন। কিন্তু সার্বিক বিশ্লেষণে রোহিঙ্গারা বিপন্ন প্রতিভাত হওয়ায় তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে চূড়ান্ত রায়ের আগ পর্যন্ত মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে অবশ্যপালনীয় ৪টি অন্তর্র্বতী নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজে বলেছে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্র্বতীকালীন কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না- সেই বিচারের এখতিয়ার আইসিজের রয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশনের ভিত্তিতে মামলা করার মতো প্রাথমিক অধিকারও গাম্বিয়ার আছে। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বা কোন পক্ষ এমন কিছু করতে পারবে না, যা গণহত্যা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। রাখাইনে এখন যে রোহিঙ্গারা আছেন, তাদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য মিয়ানমারকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেইসঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কিংবা অন্য যে কোন নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যেন কোন গণহত্যায় না জড়ায়, উস্কানি না দেয় কিংবা নির্যাতনের চেষ্টা না করে সেজন্য মিয়ানমার সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সুচির প্রতিক্রিয়া
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের আরও সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর আউং সান সুচি। বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের বিচার ব্যবস্থার ওপর শ্রদ্ধা রাখার আহ্বান জানিয়ে সুচি বলেন, সেনাবাহিনীর বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই ২০১৭ সালে রাখাইনে অভিযানকালে সেনাদের সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার করা হবে। আমাদের উচিত বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল থাকা ও অযৌক্তিক দাবি না তোলা। বিশ্বের আর সব দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মতো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছেও নিজ সদস্যদের দায়বদ্ধতার ব্যাপারটিকে নিশ্চিত করা কঠিন। এর পরপরই আন্তর্জাতিক মহলের উদ্দেশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে সুচি বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ অভিযোগই বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে শোনা। মিয়ানমার সরকারের প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশন আইসিওই ওইসব অভিযোগকে অতিরঞ্জিত বলে অভিহিত করেছে।
২০১৭ সালে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে তদন্তের জন্য ফিলিপিন্সের কূটনীতিক রোজারিও মানালো ও জাপানী দূত কেনজো ওশিমার নেতৃত্বে আইসিওই গঠন করা হয়। গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) ওই প্যানেল প্রতিবেদনে জানায় যে, রাখাইনে সেনা অভিযানকালে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে গণহত্যা সংশ্লিষ্ট প্রমাণ মেলেনি।
জাতিসংঘ দূতের সংবাদ সম্মেলন
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেছেন, আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালতের (আইসিজে) সিদ্ধান্ত মিয়ানমার যেন এড়িয়ে যেতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সফর শেষে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইয়াং হি লি। আইসিজেতে যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে সে রায়ের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত বলেন, আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালতের যে সিদ্ধান্তই দিক না কেন, সে সিদ্ধান্ত মিয়ানমার যেন এড়িয়ে যেতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন-রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ইয়াং হি লি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও চীনের ভূমিকা লজ্জাজনক। চীন এখন বিশ্ব নেতৃত্বের জায়গায় যেতে চলেছে। তবে বিশ্ব নেতৃত্ব দিতে হলে মানবাধিকারকে সম্মান দিতে হবে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে ইয়াং হি লি ১৫ থেকে ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সফর করেছেন। তিনি থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ সফরে আসেন। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এছাড়া সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেঠক করেন ইয়াং হি লি। জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত গত বছরের জানুয়ারি মাসে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। সে সময়ও তিনি থাইল্যান্ডও সফর করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের এ বিশেষ দূত রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে কয়েকবার মিয়ানমার সফরে যেতে চাইলেও সেদেশের সরকার তাকে প্রবেশে অনুমতি দেয়নি। মার্চ মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে তিনি রোহিঙ্গাদের নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগে এটাই তার বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে শেষ সফর।
আইসিজের পর্যবেক্ষণ
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় গাম্বিয়া যেসব ব্যবস্থার আবেদন করেছে সেগুলো হুবহু অনুসরণ না করে আদালত কিছু পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে আদালত বলে, আদালতের অন্তর্র্বতী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। আদালত গণহত্যা সনদের ধারা ৪১ এর আওতায় তিনটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশের শর্তসমূহ বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করেছে। আদালত বলে, গাম্বিয়া যেসব অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার আদেশ চেয়েছে সেগুলোর প্রথম তিনটির লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা দেয়া। জাতিসংঘ তথ্যানুসন্ধান দলের উপসংহার, যা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে তাতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতায় গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল বলে যে উল্লেখ রয়েছে তা আদালতের নজরে এসেছে। আদালত মনে করেন, গণহত্যা সনদের ধারা ২ এর আলোকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী (প্রোটেক্টেড) গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচ্য। সনদের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোর আওতায় (ধারা ৮ ও ৯) এই মামলা দায়েরের গাম্বিয়ার প্রাইমা ফেসি অধিকার আছে। বিষয়টিতে আদালতের কোন কিছু করার এখতিয়ার নেই বলে মিয়ানমার যে দাবি করেছে আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘ তথ্য অনুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনে যেসব বিবরণ উঠে এসেছে তার আলোকে গাম্বিয়া মিয়ানমারকে যে নোট ভারবাল দিয়েছিল তা বিরোধের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
আদালত বলেছে, গাম্বিয়া স্বনামে মামলার আবেদন করেছে। এরপর তারা ওআইসিসহ যে কোন সংস্থা ও দেশের সহযোগিতা চাইতেই পারে। তাতে মামলা করার অধিকার ক্ষুণ্ন হয় না। আদালতের প্রাথমিকভাবে এখতিয়ার আছে কিনা তা গণহত্যা সনদের ৯ ধারার আওতায় বিবেচ্য জানিয়ে আদালত তার যুক্তি তুলে ধরছে। পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট মুসলমানপ্রধান দেশ গাম্বিয়ার অভিযোগ ছিল, দুই বছর আগে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে যে বর্বরতা চালানো হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করেছে মিয়ানমার। দ্য হেগের পিস প্যালেসে গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মামলার ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়। তাতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে মিয়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রী আউং সান সুচি।
বৃহস্পতিবারের আদেশের শুরুতে মিয়ানমারের যুক্তি নাকচ করে দিয়ে আইসিজের প্রেসিডেন্ট বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না- সেই বিচারের এখতিয়ার আইসিজের রয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশনের ভিত্তিতে মামলা করার মতো প্রাথমিক অধিকারও গাম্বিয়ার আছে। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার যেসব আবেদন গাম্বিয়া করেছে, তার মধ্যে তিনটি যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছে আইসিজে। পাশাপাশি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আরেকটি আদেশ দিয়েছে। মিয়ানমারকে গণহত্যা রোধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় আইসিজে।