স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৩ মাস ধরে আটকে রেখে তরুণী (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে শাহ আলম আহমদ মানিক (৩৬) নামে এক ধর্ষককে আটক করেছে এসএমপি মোগলাবাজার থানা পুলিশ। সেই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ও নির্যাতিতা গৃহবধূকেও উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আটক মানিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ধৃত মানিক মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার নিজগাঁওয়ের মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. জেদান আল মুসা জানান, গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রুবিনা বেগম নামের এক মহিলা মোগলাবাজার থানা পুলিশকে খবর দেন যে তার বোনকে স্বামী শাহ আলম আহমদ মানিক মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর এলাকার জুবেল মিয়ার কলোনির একটি ঘরে আটকে রেখে মারধর করছেন। খবর পেয়ে মোগলাবাজার থানা পুলিশের একটি টিম ওই কলোনিতে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান আরেক তরুণীকে ৩ মাস যাবৎ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আটক রেখে ধর্ষণ করে চলেছে অভিযুক্ত মানিক।
ধর্ষিতা তরুণী এ সময় পুলিশকে জানান, গত ৩ মাস পূর্বে শাহ আলম আহমদ মানিক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে এই কলোনিতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাকে বিয়ে না করে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে কলোনির এক ঘরে আটক রেখে জোরপূর্বক ৩ মাস যাবৎ ধর্ষণ করছিল। এসময় মোগলাবাজার থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার পলাশ রঞ্জন দে, অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেনসহ পুলিশের আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাহ আলম আহমদ মানিককে আটক করে। ওইসময় মানিকের নির্যাতিতা স্ত্রী ও ধর্ষিতা তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ দু’জনকেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, মানিকের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ১৪ জানুয়ারি মোগলাবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি মানিক বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
