বিশ্বনাথে পুলিশ প্রশাসন কৃর্তক ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সঙ্গী ও শিষ্য প্রশিষ্যদের মাজারে শত শত বৎসরের ধারবাহিকতায় অনুষ্ঠিত ওরুস বন্ধ ও মাজারে আগত ভক্তবৃন্দকে মারপিট করায় এবং সুষ্ঠুভাবে ওরস মোবারক অনুষ্ঠানের জন্য গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি) সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বাউল শিল্পী কল্যাণ ট্রাষ্ট বাংলাদেশ (রেজি: ২৪৪৬) এর নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেট অঞ্চল তথা বিশ্বনাথ উপজেলার ৩৬০ আওলিয়ার অন্যতম সঙ্গী ও শিষ্য প্রশিষ্যদের শতাধিক মাজার-মঞ্জিল রয়েছে। এই সকল মাজার-মঞ্জিলে দেশের প্রচলিত আইন-কানুন মেনে শত শত বৎসর যাবৎ ওরস চলে আসছে।
ইদানিং কোন কারণবশত: বিশ্বনাথ পুলিশ-প্রশাসন এই সকল মাজার-মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত ওরস মোবারকে বাধা প্রদান করছেন এবং হযরত ইয়াসতি শাহ ও আসল শাহ (রহ.) এর ওরসে আগত ভক্ত-আশেকানদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়া এবং বিশ্বনাথে কোন ওরস অনুষ্ঠিত হতে দেবেন না মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন। যার কারণে বিশ্বনাথের আপামর জনসাধারণের মতে ক্ষোভের সঞ্চার হইতেছে।
শত শত বৎসরের ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক এই সকল মাজার-মঞ্জিলের ওরস মোবারক সুষ্ঠুভাবে পালনে পুলিশ প্রশাসনের বাধা প্রদানের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্দপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অলি-আউলিয়াদের মাজারে দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী ওরস মোবারক পালন কারার সুযোগ দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মাজার ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মো. মকন মিয়া, তেতলি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম, শাহ তোফাজ্জুল হক ভান্ডারী, মো. আব্দুর রব, মো. সাবুদ্দিন, হাজি খোয়াজ আলী, মো. রজব আলী, পির আমসুল ইসলাম, ফকির ছয়ফুল আলম জালালী, গীতিকার আলী আহমদ, মো. ইনছান আলী, বাউল ভাসানী বারিক, বাউল দিলাল উদ্দিন সরকার, গীতিকার ফারুক মিয়া, বাউল আমির উদ্দিন, আবুল বশর, মো. দিলওয়ার, মো. আবু তাহের, মো. রমজান আলী, বাউল মীর আজাদ, শাহ আশিকুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি