মাসুদ আল রাজী শাবি থেকে :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৯ শিক্ষার্থীকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন অনুষদে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্বে রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন এর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজেদুল করীম, স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আবু সায়েম, স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড মিনারেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো ফয়সাল আহমেদ, স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন এর ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সস এর ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় অনেকদূর এগিয়ে গেছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। আগামীতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে নেতৃত্ব দিবে আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সেশন জট শূন্য। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে র্যাগিং প্রথা নির্মূল করা হয়েছে। দেশ ও দেশের বাইরে আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা অনেক ভালো করছে।
তিনি আরো বলেন, এবারের সমাবর্তনে আমাদের যা ভুল হয়েছে আগামীতে তা আর হবে না। আমাদের যা ভুল ছিলো আমরা সব নোটিশ করেছি। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সামনে আরো স্ক্রিন রাখা দরকার ছিলো। তবে সামনের সমাবর্তনে এ ধরনের ভুল আর হবে না বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এছাড়া কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সমাবর্তনে খাবার দিতে না পারা আমাদের জন্য ব্যর্থতা। এজন্য আমরা গ্র্যাজুয়েটদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। সবাই ক্ষুধা নিয়েও হাসিমুখে দিন কাটিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল ৮ জানুয়ারি (বুধবার) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ^বিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তনে মোট ছয় হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এতে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক পেয়েছেন ২০ জন ও ভিসি অ্যাওয়ার্ড পান ৮৯ জন গ্র্যাজুয়েট।
