মাত্র ১ দিন পরই এক যুগ প্রতিক্ষার অবসান ॥ সমাবর্তনের আমেজে শাবি, ক্যাম্পাসে চলছে বর্ণিল উৎসব

10
সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে শাবি সেজেজে নতুন সাজে।

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
মাত্র একদিন পরই শেষ হবে দীর্ঘ একযুগ প্রতিক্ষার অবসান। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার (৮ জানুয়ারি)। বহুল আকাঙ্খিত এই সমাবর্তনকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সমাবর্তন প্রত্যাশী গ্র্যাজুয়েটদের। রাষ্ট্রপতি ও সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ এবং গ্র্যাজুয়েটদের বরণ করে নিতে বর্ণিল রূপে সাজানো হচ্ছে পুরো ক্যাম্পাস। এছাড়াও সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন ভবন ও ক্যাম্পাসের গাছগুলোতে রঙ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কার ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও রাস্তার দু’পাশের সারি সারি গাছের ঢালে রঙিন আলোকচ্ছটায় সাজানো হয়েছে। প্রধান ফটক থেকে বিভিন্ন সড়কের পাশে সমাবর্তন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, নানা ডিজাইনের গেট ও বিভিন্ন তথ্য সংবলিত নির্দেশিকা টানানো হয়েছে। যা সমাবর্তনের আনন্দ-আবেশকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। ফলে সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে যেন বইছে উৎসবের আমেজ। এছাড়াও আজ থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন সমাবর্তন প্রত্যাশী গ্রাজুয়েটরা ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের সমাবর্তনে মোট ৬ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে স্নাতক ৪ হাজার ৬১৭ জন, স্নাতকোত্তর ১ হাজার ১২৭ জন, পিএইচডি ২ জন, এমবিবিএস ৮৭৮ জন, এমএস ও এমডি ডিগ্রিধারী ৬ জন এবং নার্সিংয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফলধারী ১২ শিক্ষার্থী ও স্নাতকোত্তরে ৮ শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। অন্যদিকে অনুষদে প্রথম হওয়া মোট ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
এদিকে সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আরও ৫০টি অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্কবস্থানে রয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সমাবর্তনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শেষে পর্যায়ের কাজগুলো চলছে। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে যেন সুন্দর একটি সমবর্তন উপহার পায়- এমনটা প্রত্যাশা করি।
বুধবার বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হবে। সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়া সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।