খুলনাকে হারিয়ে সবার আগে প্লে-অফে চট্টগ্রাম

6

ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই জয়ের ফলে প্রথম দল হিসাবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম। ১০ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তারা এখন শীর্ষে রয়েছে। আর ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে খুলনা।
এদিন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে খুলনার দেয়া ১২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন জুনায়েদ সিদ্দিক। ২৮ বলে ৩৬ করেন লেন্ডল সিমন্স। ২৭ বলে ৩০ করে অপরাজিত থাকেন ইমরুল কায়েস। খুলনার বোলারদের মধ্যে রব্বি ফ্রাইলিঙ্ক ২টি, আলিস আল-ইসলাম ১টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।
ছোট লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে চট্টগ্রাম। ওপেনিং জুটিতে ৬৯ রানের পার্টনারশিপ করেন সিমন্স ও জুনায়েদ। ১১তম ওভারে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে সিমন্সকে ফেরান আলিস আল-ইসলাম। পরের ওভারে মিরাজ বোলিংয়ে এসে ফিরিয়ে দেন জুনায়েদকে।
১৪তম ওভারে গুনারত্নেকে বোল্ড করেন ফ্রাইলিঙ্ক। তখন জয়ের কাছাকাছি ছিল চট্টগ্রাম। এমন সময় উড়িয়ে মারতে গিয়ে শামসুরের হাতে ক্যাচ হন ওয়ালটন। পরে ইমরুল ও সোহান মিলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১২১ রান করে অলআউট হয়ে যায় খুলনা টাইগার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রাইলি রুশো। ২৪ বলে ২৯ করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে ৩.৫ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা। এছাড়া কেজরিক উইলিয়ামস ২টি ও জিয়াউর রহমান ১টি করে উইকেট নেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে খুলনা। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান রানা সাজঘরে ফেরান দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাশিম আমলাকে। মিরাজ ৯ বলে ৪ ও আমলা ৬ বলে ৮ রান করে আউট হন। বিপিএলের নিজের প্রথম ইনিংসে ২টি চার হাঁকান আমলা।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর থিতু হতে পারেননি শামসুর রহমান শুভও। রুবেলের বলে স্লিপ ক্যাচ তুলে দেন জুনায়েদ সিদ্দিকীর হাতে। এরপর অধিনায়ক মুশফিক ও রাইলি রুশো প্রতিরোধ গড়তে চেষ্টা করেন।
তবে তাদের ৪৯ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে ২৪ বলে ২৯ রান করা মুশফিক জিয়াউর রহমানের বলে বোল্ড হলে। প্রথমে দেখেশুনে খেলতে থাকা রুশোও যখন খোলস থেকে বেরিয়ে এলেন, তখন তিনিও শিকারে পরিণত হন। বিদায়ের আগে ২টি করে চার-ছক্কায় ৪০ বলে করেন ৪৮ রান।
রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান রানা আর কেজরিক উইলিয়ামসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষদিকে চাপ সামলাতে পারেননি খুলনার কেউই। রব্বি ফ্রাইলিঙ্ক ২৩ বলের মোকাবেলায় করেন মাত্র ১৭ রান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ১২১ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৬ উইকেটে জয়ী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
খুলনা টাইগার্স ইনিংস: ১২১ (১৯.৫ ওভার)
(মিরাজ ৪, আমলা ৮, রুশো ৪৮, শামসুর ০, মুশফিক ২৯, ফ্রাইলিঙ্ক ১৭, ইয়ামিন ০, বাবু ১, শফিউল ৩*, তানভীর ৩, আল ইসলাম ১; রুবেল ৩/১৭, নাসুম ০/১৮, রানা ৩/২৯, কেজরিক ২/২১, জিয়াউর রহমান ১/২২, গুনারত্নে ০/১৪)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস: ১২৪/৪ (১৮.১ ওভার)
(সিমন্স ৩৬, জুনায়েদ ৩৮, ইমরুল ৩০*, গুনারত্নে ০, ওয়ালটন ৭, সোহান ৬*; ইয়ামিন ০/২৯, ফ্রাইলিঙ্ক ২/২০, শফিউল ০/২২, আল-ইসলাম ১/২৭, বাবু ০/৮, মিরাজ ১/১০, রুশো ০/৭)।
ম্যাচ সেরা: মেহেদী হাসান রানা (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)।