দেশের বিভিন্ন জেলার ৪ শতাধিক শিক্ষককে নিয়ে বিভাগীয় শহর সিলেটে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী হাওর পারের শিক্ষক সম্মেলন। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেয়ার জন্য ‘না চলে নাউ, না চলে পাউ’ এই শ্লোগান ধারন করে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ জেলার শিক্ষকদের উদ্যোগে গঠিত হাওর পারের শিক্ষক গ্র“প আয়োজিত এ সম্মেলনে হাওর পারের শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে এই বিশাল শিক্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
নগরীর কবি কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামে গতকাল শুক্রবার বিকেলে হাওর পারের শিক্ষক গ্র“পের উদ্যোগে এবং মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা, একসেস টু ইনফরমেশন, সরকারি ট্রিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগিতায় দু’দিন ব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা-এর মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের আঞ্চলিক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর কবির আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাওর পারের শিক্ষক সম্মেলন উদযাপন কমিটির আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। নেত্রকোনা নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আনোয়ার উদ্দিন হিরনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা সিলেট অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর হারুনুর রশিদ, সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার অনিলকৃষ্ণ মজুমদার, সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন, হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ, সুনামগঞ্জ রানিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও হাওর পারের শিক্ষক সম্মেলন উদযাপন কমিটির আহবায়ক মো. আব্দুস সামাদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মৌলভিবাজার শাহ মোস্তফা কলেজের প্রভাষক আসাদুল্লাহ ও গীতা পাঠ করেন হবিগঞ্জ পুটিজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পঙ্কজ কান্তি গোপ। অনুষ্ঠানের মিড-ডে মিল বিষয়ে সেমিনারে মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ-টু আই প্রোগ্রাম আইসিটি ডিভিশনের এডুকেশনাল টেকনোলজি এক্সপার্ট রফিকুল ইসলাম সুজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা-এর মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে এগিয়ে নিতে হবে। শিশুরা যাতে বিকশিত হতে পারে শিক্ষকদের সে ব্যবস্থা করতে হবে। গুণগত শিক্ষা মানে শিক্ষার মান বাড়ানো নয় মৌলিক গুণগত শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। আজকের সম্মেলনের মাধ্যমে হাওরপারের শিক্ষকদের মধ্যে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগাতে হবে। গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারলে সব সমস্যা দূর হবে। ইতিমধ্যে শিক্ষক সমাজ প্রমাণ করেছেন আমরা সব সমস্যা দূর করতে পারি। এর একটি হচ্ছে মিট ডে মিল প্রোগ্রাম এবং অন্যটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ কর্নার বাস্তবায়ন। বিজ্ঞপ্তি