শেখ হাসিনাই ভরসা

57

কাজিরবাজার ডেস্ক :
অব্যাহতি চেয়েও পেলেন না ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং হাজার হাজার কাউন্সিলরের অনড় দাবি ও পূর্ণ সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে নবমবারের মতো সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর এই জ্যেষ্ঠ কন্যা। অন্যদিকে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দেশের অন্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে কাউন্সিলরদের সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন। কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করলে মিলনায়তনে উপস্থিত সাড়ে ৭ সহস্রাধিক কাউন্সিলর উল্লাসে ফেটে পড়েন। গগনবিদারী শ্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়।
নবম বারের মতো সভাপতির দায়িত্ব প্রদানে কাউন্সিলরসহ দলের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা যে গুরুত্বদায়িত্ব আমার ওপর আবারও অর্পণ করলেন, তা আমি বহন করব। ৩৮ বছর একটা দলের সভাপতি, তবে একটা সময় আমাকে বিদায় নিতে হবে। আমার বয়স হয়েছে, আমার বয়স এখন ৭৩। তাই আগামীতে নতুন সভাপতি আপনাদের (কাউন্সিলর) বেছে নিতে হবে।’ এ সময় কাউন্সিলররা ‘নো নো’ বলে গোটা প্যান্ডেল প্রকম্পিত করে তোলেন।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর নবনির্বাচিত সভাপতি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিম-লীর সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদকীয় পদ ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন এবং কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে তা অনুমোদন করিয়ে নেন। একই সঙ্গে আগামী তিন বছরের জন্য দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডও কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী তিন বছরের জন্য গঠিত নতুন কমিটি বিশেষণ করে দেখা যায়, তেমন কোনই চমক নেই ঘোষিত নতুন কমিটিতে। অতীত সম্মেলনগুলোতে বহু সংখ্যক নক্ষত্রের পতন ঘটলেও এবার তার কিছুই ঘটেনি। উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন, পরিমার্জন নেই নতুন কমিটিতে। সামান্য কিছু পদে রদবদল ছাড়া পুরনো নেতাদের নিয়েই গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি।
দলের সভাপতিমন্ডলী থেকে কেউ বাদ পড়েননি, তবে শূন্য তিনটি সভাপতিম-লীর পদে নতুন তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেনÑ আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আবদুর রহমান এবং সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী ও পরিবহন নেতা শাজাহান খান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দু’জনের পদোন্নতি ঘটেছে। তাঁরা হলেনÑ বিদায়ী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম।আট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম ঘোষণা করা হলেও দুটি বিভাগীয় সাংগঠনিক পদ এখনও শূন্য রয়েছে। তবে অনেকেরই ধারণা, এই সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী আংশিক ঘোষিত কমিটিতে স্থান না পেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার সময় তাঁদেরকে বিভিন্ন পদে দেখা যেতে পারে। কোষাধ্যক্ষ, অর্থ সম্পাদক ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে কারোর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
এছাড়া বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য মির্জা আজম এমপি ও এস এম কামাল হোসেন পদোন্নতি পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন। এছাড়া বিদায়ী কমিটির উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া পদোন্নতি পেয়ে দফতর সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এডভোকেট নজিবুল্লাহ হীরু পদোন্নতি পেয়ে আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন। বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ঘোষিত নতুন কমিটির কোন পদে এখনও স্থান পাননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতিমন্ডলীর বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যপদগুলো চূড়ান্ত করা হবে এবং বাকিগুলোও ঘোষণা করা হবে।
দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সাংগঠনিক প্রতিবেদন দাখিল করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের বাজেট উত্থাপন এবং অনুমোদন গ্রহণ করেন দলের বিদায়ী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি। এরপর শুরু হয় তৃণমূল থেকে আসা কাউন্সিলরদের বক্তব্য। আট বিভাগের আট প্রতিনিধি তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তীব্র শীতের কারণে এদিন দলীয় সভাপতির নির্দেশনায় কাউন্সিল অধিবেশনের কর্মসূচী সংক্ষিপ্ত করে আনা হয়। নতুন কমিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা বিকেলে হওয়ার কথা থাকলেও তা সেরে ফেলা হয় দুপুরেই। এর আগে গঠনতন্ত্র সংশোধনী, ঘোষণাপত্র পরিমার্জনসহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সদ্য বিদায়ী কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, সংসদীয় ও স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড বিলুপ্তি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যেভাবে নির্বাচিত প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হলো : রীতি অনুযায়ী দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে মঞ্চ থেকে নেমে কাউন্সিলরদের আসনে বসেন। এর পর নতুন কমিটি নির্বাচনের জন্য মঞ্চে আসেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং অপর দুই সদস্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান খান। এরপর শুরু হয় আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্রথমেই আগামী তিন বছরের জন্য সভাপতি পদে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব ও সমর্থনের জন্য আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু সভাপতি পদে নবমবারের মতো শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। সমর্থন করেন সভাপতিমন্ডলীর অপর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। এরপর সভাপতি পদে আরও কোন নাম আছে কিনা কাউন্সিলরদের কাছে পরপর তিনবার জানতে চান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান। উপস্থিত কাউন্সিলরা হাত নেড়ে ‘নাই নাই’ বলে চিৎকার করেন। পরে টানা ৯ম বারের মতো সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। এসময় মুহুর্মুহু করতালি আর ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে মিলনায়তন মুখরিত হয়ে ওঠে।
এরপর নির্বাচন কমিশনের সামনে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তাতে সমর্থন দেন। এই পদেও পর পর তিনবার বিকল্প নামের প্রস্তাব আহ্বান করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। অন্য কোন নামের প্রস্তাব না আসায় ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরকেও সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও দুই সদস্য মঞ্চ থেকে নেমে আসেন এবং মঞ্চে পুনরায় উপবিষ্ট হন নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলরের ভাষ্য, ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার এখনও কোন ‘বিকল্প নেই’। ফলে সভাপতি পদে যে কোন পরিবর্তন আসছে না তা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। আলোচনা ছিল মূলত সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। তবে এ পদেও অধিকাংশ নেতার মতামতেরই প্রতিফলন ঘটেছে।
এরপর নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদকীয় পদ, কোষাধ্যক্ষ পদ, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ পদে নাম প্রস্তাব করলে কাউন্সিলররা তাতে সর্বসম্মতক্রমে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
আওয়ামী লীগের আংশিক নতুন কমিটিতে স্থান পেলেন যারা : সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভাপতিমন্ডলীর সদস্যÑসৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ, এডভোকেট সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, এডভোটেক আব্দুল মান্নান খান, এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এবং নতুন তিন মুখ মোঃ শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মোঃ আব্দুর রহমান।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- মাহাবুব-উল আলম হানিফ, ডাঃ দীপু মনি, নতুন দুই মুখ ড. হাছান মাহমুদ ও আফম বাহাউদ্দিন নাছিম। সাংগঠনিক সম্পাদক হলেনÑআহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং নতুন দুই মুখ এস এম কামাল হোসেন এবং মির্জা আজম এমপি। সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদ খালি রয়েছে।
সম্পাদকীয় পদে স্থান পেলেন : আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট নজিবুলাহ হিরু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে নতুন মুখ মেহের আফরোজ চুমকি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, উপ-দফতর সম্পাদক, উপপ্রচার সম্পাদক পদে কারোর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
সংসদীয় বোর্ডে যাঁরা রয়েছেন : শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও মোঃ রাশিদুল আলম। বাকি নামগুলো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় দিকগুলো বিবেচনায় নিতে চান বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে যাঁরা আছেন : শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, ওবায়দুল কাদের, মোঃ রাশিদুল আলম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডাঃ দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোঃ আব্দুর রহমান ও ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
উপদেষ্টা পরিষদে যাঁরা রয়েছেন : এবারের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবশনে দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ৪১টির স্থলে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাস হয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হলেন- ডাঃ এস এ মালেক, আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এডভোকেট মোঃ রহমত আলী, এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এডভোকেট সৈয়দ আবু নসর, সতীশ চন্দ্র রায়, অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক, অধ্যাপক ডাঃ রুহুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, কাজী আকরাম উদ্দীন, এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. হামিদা বানু, অধ্যাপক ড. মোঃ হোসেন মনসুর, অধ্যাপক সুলতানা শফি, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, এ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, গোলাম মওলা নকশাবন্দি, ড. মির্জা এম এ জলিল, ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, মেজর জেনারেল (অব) আব্দুল হাফিজ মালিক, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান খান, ড. গওহর রিজভী, মোঃ রশিদুল আলম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, আলহাজ মকবুল হোসেন, মোজাফফর হোসেন পল্টু, এডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মুকুল বোস, সালমান এফ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান ও জয়নাল হাজারী। বাকি পদগুলো পরে আলোচনা করে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
নতুন কমিটিতে পদোন্নতি হলো যাদের : সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমন্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান স্থান পেয়েছেন সভাপতিমন্ডলীতে। নতুন কমিটিতে এই তিনজন ছাড়া বাকিরা পুরনো মুখ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন আগের কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। কার্যনির্বাহী সংসদ সদ্য থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম।
এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নজিবুলাহ হিরু নতুন কমিটিতে আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন। উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া হয়েছেন দফতর সম্পাদক, দফতর সম্পাদক থেকে প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মেহের আফরোজ চুমকি আগের কমিটিতে না থাকলেও এবার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন।