কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে। ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে গড়তে সোনার দেশ/এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। আজ বিকেল তিনটায় বর্ণাঢ্য এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলন ঘিরে আওয়ামী লীগের পদপ্রত্যাশী নেতাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এখন চরমে। সবার দৃষ্টি এখন গণভবনের দিকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই ঝুলছে পদপ্রত্যাশী নেতাদের ভাগ্য। সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্বহাল, নাকি নতুন মুখ- এ নিয়ে দলে চলছে শেষ মুহূর্তের জল্পনা-কল্পনা। দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা পরবর্তী কমিটি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। কারা নতুন নেতা হচ্ছেন, কাদের পদোন্নতি হচ্ছে এবং পুরনো কে কে বাদ পড়ছেন, সে বিষয়ে সবাই এখন অন্ধকারে। পদপ্রত্যাশী সব নেতারই ভাগ্য ঝুলছে দলের প্রধান শেখ হাসিনার হাতে। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে আগামীকাল শনিবার আগামী তিন বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন তিনি। তবে এবারও কেন্দ্রীয় কমিটিতে ব্যাপক চমক ও ব্যাপক রদবদলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকছেন, এটা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। তাঁর বিকল্প কাউকেই মানতে নারাজ কাউন্সিলরসহ দলটির কোটি কোটি নেতাকর্মী-সমর্থকরা। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসছে কি না, এটাই এখন মূল আলোচনার বিষয়। এ পদে পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা আছে কি না, কে আসছেন, কে বাদ পড়ছেন- এসব বিষয়ে উৎকণ্ঠায় থাকা পদপ্রত্যাশী নেতারা তা জানার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারাও অকপটে স্বীকার করেছেন, যে যত কথাই বলুক বা মিডিয়াতে নাম আসুক না কেন, নতুন কমিটিতে কে আসছেন কিংবা কে বাদ পড়ছেন- এটা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া দলের বাকি সবারই অজানা। তবে তাদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের মূল আকর্ষণ সাধারণ সম্পাদক পদ। দলটির অতীত রেওয়াজ অনুযায়ী, আগে থেকে কেউ নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করেন না।
নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে কেউ কোন বক্তব্যও দেন না। বেশিরভাগ পদপ্রত্যাশীই নিজের ঘনিষ্টজন ও অনুসারীদের কাছে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে সেই লক্ষ্যে চেষ্টা চালান। এবারও এভাবেই নেতারা নিজেদের প্রত্যাশার কথা প্রকাশ করছেন। সাধারণত সম্মেলনের দু-তিন দিন আগেই অন্তত সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে দেন দলীয় প্রধান। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। সম্মেলনের আগের দিন পর্যন্ত কেউ জানেন না কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক। হয়তো আজ সম্মেলনের উদ্বোধনের পর বিষয়টি কাউন্সিলরদের সামনে পরিষ্কার হতে পারে।
সম্মেলনের জন্য ১০২ ফুট দীর্ঘ, ৪০ ফুট প্রশস্থ মূল মঞ্চ প্রস্তুত। মূল মঞ্চটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন পদ্মা নদীর বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে বিশাল নৌকা। সেই নৌকার চারপাশজুড়ে থাকছে প্রমত্ত পদ্মার বিশাল জলরাশি। এর মধ্যে রয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুও। এছাড়া পদ্মার জলতরঙ্গ, পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়ানো ছোট ছোট নৌকা, এমনকি চরের মধ্যেও কাশবনের উপস্থিতি। থাকছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিও। নৌকার পেছনে থাকছে জাতীয় চারনেতাসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিভিন্ন সময় অবদান রাখা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ছবি ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের ফেস্টুন ও উন্নয়নের ছবিও।
জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হবে আওয়ামী লীগের দুদিনব্যাপী কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট, শোক প্রস্তাবসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালিত হবে।
এদিকে রাতের ঢাকার চিরচেনা দৃশ্য হঠাৎ করেই যেন বদলে গেছে। ঢাকাজুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। ঝলমল সাজে সেজেছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকা। সন্ধ্যা নামতেই বর্ণিল আলোকচ্ছটায় রূপ বদলে যায় ধুলি-ধূসর ঢাকার এ এলাকা। বসেছে এলইডি লাইটে তৈরি আলোকজ্জ্বল নৌকা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের রঙিন প্রতিকৃতি। দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরেই রাজধানীজুড়ে এখন রঙিন আলোর ছড়াছড়ি।
শুধু বর্ণিল সাজসজ্জাই নয়, প্রযুক্তি খাতেও বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিতেও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ছাপ পড়েছে। ২১তম জাতীয় সম্মেলন সরাসরি ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করা হবে। এ ব্যাপারে দলটির নেতারা বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল হিসেবে গড়ে তোলার মূল ভূমিকা রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। সেই দলের সম্মেলনে ডিজিটালের ছোঁয়া তো থাকবেই। আওয়ামী লীগের নিজস্ব ফেসবুক পেজে সম্মেলন সরাসরি দেখা যাবে। যে কেউ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সম্মেলন লাইভ দেখতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর। দ্বিতীয় দিন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে দলের কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এদিন ৮১ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের কমিটির ২৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। ২৫ অক্টোবর ঘোষণা করা হয় সম্পাদকমন্ডলীর ২২ জনের নাম। ৪টি পদ বাদ রেখে কমিটির অন্যান্য পদে নাম ঘোষণা করা হয় ২৯ অক্টোবর। সেসময় ধাপে ধাপে কমিটি গঠন করা হলেও এবার এক সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। আগামীকাল শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় কাউন্সিলে সবার উপস্থিতিতে অধিকাংশ পদই একসঙ্গে ঘোষণা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেবেন। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে কাউন্সিলরদের তালিকা এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে। ডেলিগেট কার্ড, পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, স্বেচ্ছাসেবক ইউনিফর্মসহ সম্মেলনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তৈরি ও বিতরণের কাজও শেষ। সম্মেলনের ঘোষণাপত্রও প্রস্তুত হয়েছে।
অন্যদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন নির্বিঘ্নে করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সম্মেলনস্থল, প্রবেশপথসহ চারপাশে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন সম্মেলনের শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
২১তম সম্মেলনের আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে দাওয়াতপত্র পৌঁছে দেয়া, মঞ্চ ও সম্মেলনস্থল প্রস্তুত করা এবং সাজসজ্জাসহ অন্য সব কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এ সম্মেলনে কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ ৫০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন। বিএনপি, গণফোরাম, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলকেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবার বিদেশী অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকরা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং এর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিশাল এলাকাজুড়ে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে ছয়টি নৌকা। উদ্যানের গাছে গাছে লাগানো হয়েছে মরিচবাতি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। মৎস্যভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে শোভা পাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। পাশাপাশি লাগানো হচ্ছে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের চিত্রসংবলিত ফেস্টুন।
সম্মেলনস্থলে নেতাকর্মীদের প্রবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচটি গেট থাকবে। একটি গেট ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ৮১ সদস্যের মধ্যে চারটি পদ শূন্য থাকায় মূল মঞ্চে চেয়ার থাকবে ৭৭টি। মঞ্চের সামনে নেতাকর্মীদের জন্য চেয়ার থাকবে ৩০ হাজার। এছাড়া সম্প্রসারিত মঞ্চে ১৫ হাজার চেয়ার দেয়া হবে। ২৮টি এলইডি পর্দায় দেখানো হবে সম্মেলনের পুরো অনুষ্ঠান। সম্মেলনে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার কাউন্সিলর, ডেলিগেটস ও নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
অভ্যর্থনা : মুজিববর্ষ সামনে রেখে এবারের সম্মেলনে বিদেশী কোন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ অন্যসব পেশার বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে অতিথিদের তালিকা তৈরি করে সম্মেলনের কার্ড পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিম জানান, ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে যেমন বিমানবন্দর, বাস ও রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড ও ব্যানারের মাধ্যমে অতিথি ও কাউন্সিলরদের স্বাগত জানানো হবে। সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে দাওয়াতপত্র পৌঁছে দেয়ার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
প্রচার ও প্রকাশনা : সম্মেলন সামনে রেখে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি কাজ শেষ করেছে। সম্মেলনে প্রচার উপকমিটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার একটি কার্ড থাকবে। একই সঙ্গে থাকবে দুটি সিডি। একটিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন এবং অন্যটিতে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের পাটের ব্যাগে এগুলোর সঙ্গে একটি প্যাড ও একটি কলম দেয়া হবে। এরই মধ্যে ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ওয়েবপেজ উদ্বোধন করেছে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি। ওয়েবপেজের ভিডিও অংশে সম্মেলন লাইভ করা হবে।
সম্মেলন উপলক্ষে ১০০ চিকিৎসক নিয়ে ১২টির মতো প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে স্বাস্থ্য উপকমিটি। দুপুরে ৫০ হাজার নেতাকর্মীকে আপ্যায়ন করা হবে। খাবারে মোরগ-পোলাওয়ের সঙ্গে ডিম, ফিরনি ও পানির বোতল থাকবে। আন্তর্জাতিক উপকমিটির পক্ষ থেকে সম্মেলন স্থানে কূটনীতিকদের জন্য বিশেষ স্টল স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি সম্মেলনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।