কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি এবার ৪৯৫ উপজেলায় একযোগে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জোর দিয়ে বলেছেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ব্যাংকগুলোতে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট কার্যকর হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ভাল আছে। ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিয়ে তা প্রবৃদ্ধি সঞ্চারী খাতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া টাকার মান ডলারের বিপরীতে কমানো হবে না বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এদিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি এবার সারাদেশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায়ও পালন করা হবে। এ লক্ষ্যে ক্যাম্পেন কার্যক্রম বাস্তবায়নে টি-শার্ট, ব্যানার, ফেস্টুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক স্থিরচিত্র প্রদর্শনী, আতশবাজি পোড়ানো ও ভিডিওচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সফলভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে জরুরী প্রয়োজনে এক বা একাধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এছাড়া এই আয়োজন সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, মুজিববর্ষ সামনে রেখে এবার দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হবে। দীর্ঘ বন্দী জীবন শেষে দেশ স্বাধীনের পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১০ জানুয়ারি জাতির জনক স্বদেশে ফিরে আসেন। প্রতি বছর এই দিবসটি আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে পালন করে এলেও কয়েক বছর ধরে সরকারীভাবে পালন করা হচ্ছে। তবে মুজিববর্ষ সামনে রেখে এবার জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নকারী উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় হিসেবে কাজ করছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। জিওবি ও জাপান সরকারের অর্থায়নে সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, এবার সারাদেশে একযোগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হবে। বাংলাদেশের আজকে যে অর্জন তা জাতির জনকের হাত দিয়েই শুরু হয়েছিল। তিনি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা বিনির্মাণ করে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দেশী-বিদেশী শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এসব অনুষ্ঠান বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের অর্থনীতি ভাল আছে। ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিয়ে তা প্রবৃদ্ধি সঞ্চারী খাতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এ কারণে ব্যাংক ঋণের পরিমাণ বাড়লে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই।