জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে সড়ক, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আংশিক পাকা আধা পাকা ঘর ভেঙে নদীতে হারিয়ে গেছে। এখনো সড়ক সহ অসংখ্য ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের কবলে রয়েছে। যদিও নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে প্রতিরক্ষা কাজ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত প্রায় ১৫/২০ বছর আগে জগন্নাথপুর পৌর শহরের বাদাউড়া নদী ভাঙন শুরু হয়। এ সময় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বাদাউড়া ও হাবিবনগর গ্রাম এলাকার কাঁচা ঘরবাড়ি। প্রথম দিকে নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত বাদাউড়া গ্রামের প্রায় ২০/২৫ টি কাঁচা ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। নদী ভাঙনে বসতবাড়ি হারানো মানুষরা অসহায় হয়ে অন্যত্র চলে যান। পরে নদীর পশ্চিম পারে অবস্থিত হাবিবনগর গ্রামের ঘরবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়ে। এক পর্যায়ে নদী ভাঙন বড় হয়ে সড়ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙতে শুরু করে। জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ সড়কের হাবিবনগর গ্রাম এলাকার সড়কে গত কয়েক বছর আগে ভাঙনের কবলে পড়েছে। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে আংশিক মেরামত করে কোন রকমে যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করা হয়। এর মধ্যে সড়কটি ভেঙে সরু হয়ে গেছে এবং অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছনের অংশ নদীতে হারিয়ে গেছে।
অবশেষে গত প্রায় দেড় মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে নদী ভাঙন রোধে প্রতিরক্ষা কাজ শুরু হয়। নদী ভাঙনে বালু ও পাথর ভর্তি বস্তা ফেলে প্রতিরক্ষা কাজ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাউবো’র জগন্নাথপুর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এসও) হাসান গাজী বলেন, হাবিবনগর গ্রামের মাছের আড়ত অংশে ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯০ মিটার ও হাবিবনগর গ্রামের ঘোষগাঁও সেতুর উত্তর অংশে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আরো ৫০ মিটার প্রতিরক্ষা কাজ চলছে। ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সরজমিনে দেখা যায়, নদী ভাঙনে বস্তা ফেলে কাজ করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকে বলেন, আমাদের সব কিছু হারিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে নদী ভাঙনে কাজ শুরু হয়েছে। তবে পথচারীরা বলেন, অবশেষে কাজ শুরু হওয়ায় অবশিষ্ট যা আছে তা রক্ষা পাবে।