আব্দুস সালাম
সকাল দুপুর বিকেল বেলা,
একটু ফাকা পেলে,
দৌড়ে গিয়ে হাজির হতাম,
ধরলা নদীর কূলে,
সাঙ্গ পাঙ্গের অভাব কভু,
হয়নি কোন কালে,
দল বাঁধিয়া ঝাঁপাঝাপি
দিতাম ধরলার জলে,
পা ভাঙ্গিয়া খোড়াও হতো,
কেউ বা কোনদিন,
নানা রকম গাছের পাতায়
হতো ব্যথাহীন,
নানা রকম মন্ত্র দিয়া,
ছৈলে যেতাম মজে,
মায়েরা সব হয়রান হতো,
মোদের খুজে খুঁজে,
দূরের স্রোতে পানাফুল ভেসে,
ছুটতো সাড়িসাড়ি,
সেই ফুল সব ধরতে সবে,
খরস্রোত দিতাম পাড়ি।
ওয়ান টু থ্রি দিয়ে,
ছুটতাম ভেসে ডুবে,
হাঁপিয়ে পড়ে কেউবা পানি,
খেত ডুবে চুবে,
দুষ্টের ছলে কেউ বা ডুবে,
ধরতো কারো পা,
ভয়ের চোটে গা কাঁপিয়ে,
বলতো বাচা বাচা,
দুপুরবেলার গোসল কারো,
বিকেল যেতো চলে,
উঠতে গিয়ে গা মাখিতো,
কারো মাটির ঢিলে,
ডুবে ডুবে দুচোখ হতো
কবুতরের লাল চোখ,
দুবলা ঘাস আর বগার মন্ত্রে
কাটাইতাম শোক,
কে বা ছিল দুষ্টের গোড়া,
কেউবা ছিল আবাল,
মন্ত্র দিয়ে কাটাইতাম,
নিজের চোখের লাল,
বাড়ি গিয়ে কেউ কখনো,
খেতাম মায়ের গুঁড়ি,
কখনো বা কেউ হাজির হতাম
ভদ্রের ছল ধরি,
ভাবটা নিতাম এমনি করে,
যাইনি বেশি আগে,
কোথায় ছিলি শয়তানের দল,
মা বলতো রেগে,
সুখে ভরা শৈশব ছিল,
নানা রকম খেলা,
দিন পেরিয়ে সেই খেলা সব,
চলতো রাতের বেলা,
সময়ের টানে সুখের দিন সব,
হারিয়ে গেল দূরে,
মনটা যে হায় ডাকে সেদিন,
আজো সুরে সুরে,
এমনি করে আসতো যদি,
শৈশবের সেদিন,
ব্যথায় ভরা দিনগুলি মোর,
হতো যে কত রঙিন।