কাজিরবাজার ডেস্ক :
তিন বছরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দশটি বিভাগের সাড়ে ৪শ জন কর্মকর্তা বিদেশে ভ্রমণ করেছেন। এভাবে বিদেশ ভ্রমণ করে সরকারের অর্থ অপচয় না করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম ও বেগম নার্গিস রহমান।
সংসদীয় কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৬-২০১৯ পর্যন্ত তিন বছরে কর্মকর্তাদের বিভাগের ১০টি সংস্থা থেকে মোট ৪৫১ জন বিদেশ সফর করেছেন। অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর নিরুৎসাহিত করা ও বিদেশ সফরে যাতে সরকারের অর্থের অপচয় না হয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও বৈঠকে বিদেশ সফরের পর একটি প্রতিবেদন নিজ নিজ সংস্থার কাছে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা পূরণে আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা জোরদার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে শুধু ভারত থেকে নয়, প্রয়োজনে মিয়ানমার থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস আমদানি করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে দেশের জ্বালানি তেল সরবরাহে পাইপলাইন নির্মাণ সম্পর্কিত ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন ও জেটএ-১ পাইপলাইন ফ্রম পিতলগঞ্জ (নিয়ার কাঞ্চন ব্রিজ) টু কুর্মিটোলা এভিয়েশন ডিপো (কেডিএ) ইনক্লুডিং পাম্পিং ফ্যাসিলিটিজ শীর্ষক তিনটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন আগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে তিনটি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোকে প্রকল্প বাস্তবায়নের নেতিবাচক দিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বৈঠকে সরকারি অর্থের সাশ্রয় ও অতিরিক্ত ব্যয় রোধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং শুধু আন্তরিকতা নয়, দক্ষতার সঙ্গে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।