স্টাফ রিপোর্টার :
নগরী ও শহরতলীতে র্যাব ও পুলিশের পৃথক তিনটি অভিযানে ৩ পলাতক আসামি ও গাঁজাসহ এক মহিলাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন জামায়াতের এক সদস্য রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে র্যাব ও পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে।
র্যাব জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে নগরীর জালালাবাদ থানার নোয়াপাড়া এলাকা থেকে মুনিম আহমদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় চাঁদাবাজির মামলা আছে। তিনি নোয়াপাড়ার বন্ধন সি ১০ নং বাসার মৃত আব্দুল মালিকের পুত্র।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানা ও নগরীর কোতোয়ালী থানার পৃথক দুটি মামলার আসামি আহসান আহমেদ খানকে (৪৩) শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাকে মির্জাজাঙ্গাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মীরবক্সটুলার মৃত ফারুক আহমেদ খানের পুত্র। র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, নগরীর জালালাবাদ থানায় দুটি মামলার আসামি আব্দুল মালিক উরফে মালেককে (৩০) শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জালালাবাদ থানার কালারুকা ইসলামগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি শিবেরবাজারের হাটখোলা পশ্চিমপাড়ার মৃত তাছির আলীর পুত্র।
অপরদিকে দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলাস্থ এমদাদ মিয়ার কলোনী থেকে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টহলরত টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত নারী মাদক ব্যবসায়ী দক্ষিণ সুরমা ভার্থখলা এলাকার আব্দুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৮)। ঐ নারীর বসতঘরে অভিযান পরিচালনা করে এক কেজি চারশত গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে এসএমপি এর দক্ষিণ সুরমা থানার এফ আই আর নং-১/৪৬, তারিখ- ০১ মার্চ, ২০১৯; ধারা-৩৬(১) এর ১৯(ক)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ ও এসএমপি এর দক্ষিণ সুরমা থানার এফ আই আর নং-৮/৩০, তারিখ-২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮; ধারা- ১৯(১) এর ৭(ক) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং এসএমপি এর দক্ষিণ সুরমা থানার এফ আই আর নং-৭/১০৭, তারিখ-০৭ জুলাই, ২০১৭; ধারা- ১৯(১) এর ৭(ক) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলাগুলি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। এসআই মাহাবুর আলম মন্ডল বাদী হয়ে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানায় এজাহার দায়ের করলে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা জানান, আব্দুল মালিক হাটখোলা ইউনিয়ন জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।