জগন্নাথপুরে আজ ভোটের লড়াই, কে হচ্ছেন মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান

19

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
দীর্ঘ ১৬ বছরের জল্পনা-কল্পনার অবসান হতে চলেছে। রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে ভোট যুদ্ধ। কে হচ্ছেন দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত চেয়ারম্যান ও মেম্বার। কার গলায় পড়ছেন বিজয়ের মালা। সেই ভাগ্যবান ব্যক্তিকে বরণ করার আশায় অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন জনতা। কাকে ভোট দিলে এবং কে নির্বাচিত হলে কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে এ নিয়ে জনমনে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ।
মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় ১৬ বছর ধরে নির্বাচন হয়নি। অবশেষে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার জগন্নাথপুর উপজেলার ৩নং মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন চলবে। এবার ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৩০৫ জন ও নারী ভোটার ৭ হাজার ৮৫ জন। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ১০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হবে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে আটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামেয়া ইসলামীয়া লহরী মাদ্রাসা, শ্রীরামসি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, চাঁদ বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাছন-ফাতেমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গড়গড়িয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কচুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর পাবলিক হাইস্কুল, বড়কাপন ও আধুয়া ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসা ও বাউরকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট সহ অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬, নারী সদস্য পদে ১১ ও পুরুষ সদস্য পদে ৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে যাঁরা ভোট যুদ্ধে লড়াই করছেন তাঁরা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল কাদির (নৌকা) ও জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্বাছ মিয়া (লাঙ্গল)। স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুল হক শেরিন (আনারস), স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহাব আলী (টেলিফোন), স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শওকত আহমদ (চশমা) ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান (মোটরসাইকেল)।
সংরক্ষিত ১ থেকে ৩ নং ওয়ার্ড থেকে নারী সদস্য পদে রাবিয়া বেগম (তালগাছ), হাসনা হেনা (হেলিকপ্টার) ও রাহেলা আক্তার (মাইক)। ৪ থেকে ৬ নং ওয়ার্ড থেকে সাবেক ইউপি সদস্য আকজান বিবি (কলম), সরিফুল বেগম (সূর্যমুখী ফুল), নাজমিন আক্তার মিনা (তালগাছ) ও মোহন মালা (মাইক)। ৭ থেকে ৯ নং ওয়ার্ড থেকে পারুল রাণী পাল (সূর্য্যমুখি ফুল), ফুল বেগম (তালগাছ), ফিরোজা বেগম (বই) ও হাওয়ারুন্নেছা (মাইক)।
সাধারণ ১নং ওয়ার্ড থেকে সাংবাদিক ছইল মিয়া সুহেল (ঘুড়ি), শফিক আলী (তালা), লিটন আহমদ (আপেল), আবদুল আহাদ (ভ্যানগাড়ি), খলিল উদ্দিন (ফুটবল), হাবিব খান (টর্চ লাইট), জাবেদ খান (বৈদ্যুতিক পাখা) ও সাজর আলী (টিউবওয়েল)। ২নং ওয়ার্ড থেকে তরুণ সমাজকর্মী মাহবুব হোসেন (ঘুড়ি), কমর উদ্দিন (তালা), সাহাব উদ্দিন (টিউবওয়েল) ও সেলিম হোসেন (ফুটবল)। ৩নং ওয়ার্ড থেকে হোসেন রাসেল (ফুটবল), আওলাদ আলী (মোরগ) ও মাহমুদ মিয়া (টিউবওয়েল)। ৪নং ওয়ার্ড থেকে বর্তমান ইউপি সদস্য রফা মিয়া (ফুটবল), হাফিজুর রহমান খালেদ (ঘুড়ি), রুহেল মিয়া (টিউবওয়েল), আসাদুজ্জামান আনছার (বৈদ্যুতিক পাখা) হোসেন মিয়া (আপেল) ও আশিকুর রহমান (তালা)। ৫নং ওয়ার্ড থেকে সমাজকর্মী আবদুস শহীদ (ফুটবল), সাহেদ মিয়া (টিউবওয়েল) ও আজির উদ্দিন খান (তালা)। ৬নং ওয়ার্ড থেকে মুজাম্মিল খান (মোরগ), নজির আলী (ফুটবল) ও ইমরান হোসেন (তালা)। ৭নং ওয়ার্ড থেকে সমাজকর্মী রফিক উদ্দিন (টিউবওয়েল), আনোয়ার আলী (তালা), আবদুল ওয়াহাব (ভ্যানগাড়ি), আবদুল কদ্দুছ (বৈদ্যুতিক পাখা), হান্নান মিয়া (ঘুড়ি), সেবুল আহমদ (ফুটবল) ও মাহমুদ আলী (মোরগ)। ৮নং ওয়ার্ড থেকে ফয়জুর রহমান (ফুটবল), আবুল হোসেন (টিউবওয়েল), আবদুল আলিম (মোরগ), ফরহাদ আহমদ (তালা), মোস্তাক আহমদ (আপেল), ফয়জুল হক (ঘুড়ি) ও আলী হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা)। ৯নং ওয়ার্ড থেকে সমাজকর্মী ও যুবলীগ নেতা সাজাদ খান (ফুটবল), নেওয়ার হোসেন (টিউবওয়েল), মইনুল গণি (আপেল), নানু মিয়া (তালা), বদরুল গণি (মোরগ) ও মোস্তফা মিয়া (ভ্যানগাড়ি)।