কাজিরবাজার ডেস্ক :
বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের মুখে বুয়েট কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছাত্রদের ১০ দফা দাবিই মেনে নিয়েছেন ভিসি। তারপরও তারা কেন আন্দোলন করবে, আন্দোলনের কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে। আমাদের কথা স্পষ্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ রাখতে হবে। কোনও অন্যায়-অবিচার আমরা সহ্য করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। অপরাধী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এসব কথা বলেন। সেখানে মহিলা শ্রমিক লীগের কাউন্সিল-২০১৯ এর উদ্বোধনী পর্বে তিনি প্রধান অতিথির ভাষণ রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিন্তু পিছিয়ে থাকিনি, কোন দল করেছে সেটা দেখিনি। খুনিকে খুনি হিসেবে, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে, অন্যায়কারীকে অন্যায়কারী হিসেবেই দেখেছি। খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি কারও আন্দোলন বা নির্দেশের অপেক্ষা করিনি। আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি, ওদেরকে গ্রেফতার করতে এবং ভিডিও ফুটেজ থেকে সব তথ্য সংগ্রহ করতে। কিন্তু, পুলিশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের সময় তারা (আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী) কেন বাধা দিয়েছিল, আমি জানি না। সেখানে ফুটেজ আনতে পুলিশকে বাধা না দিলে আরও আগেই অপরাধী চিহ্নিত করা যেত, অনেকেই পালাতে পারতো না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকক্ষণ তাদের (ফুটেজ সংগ্রহে আসা পুলিশ) আটকে রাখা হয়। আর এর মাধ্যমে আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগই করে দেওয়া হয় কিনা−সেটা আন্দোলনকারীরা বলতে পারবে।’
উল্লেখ্য, বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে শেরে বাংলা আবাসিক হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি মেনে নেন। এরমধ্যে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ১৯ ছাত্রকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি রয়েছে। সূত্র: বাসস।